বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবিতে এখন সোচ্চার। এই দাবির পক্ষে তারা শুরু করেছে একটি নতুন প্রচারণা। ‘ইন্টারিম রিমেম্বার, ইলেকশন ইন ডিসেম্বর’ শিরোনামে এই ক্যাম্পেইনটি শুরু হয়েছে দলটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে। বুধবার, ২৮ মে ঢাকায় আয়োজিত তারুণ্যের সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন—নির্বাচন ডিসেম্বরের মধ্যেই সম্পন্ন করতে হবে। এই ঘোষণার পরপরই বিএনপি তাদের নতুন ক্যাম্পেইন চালু করে। সমাবেশে তারেক রহমান বলেন, “ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন অবশ্যই অনুষ্ঠিত হতে হবে। আমরা আবারও পুনরায় বলছি, ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন হতে হবে।”
তিনি দেশবাসীর উদ্দেশে আহ্বান জানান, “ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন নিশ্চিত করতে এখন থেকেই প্রস্তুতি শুরু করুন। কে রাষ্ট্র পরিচালনা করবে, কে হবে আপনাদের প্রতিনিধি—তা নির্ধারণ করবেন আপনারা ভোট দিয়ে।” তারেক রহমান আরও বলেন, “দেশকে এগিয়ে নিতে বিএনপির হাতে রয়েছে একাধিক উন্নয়ন পরিকল্পনা। তবে যেকোনো পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য দরকার একটি নির্বাচিত সরকার। অথচ জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে চলছে নানা ধোঁয়াশা ও বিলম্ব। সরকার এখনো নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা না করায় সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে। মনে হচ্ছে, তাদের ভেতরে রয়েছে কোনো গোপন উদ্দেশ্য। আমরা পরিষ্কার করে জানিয়ে দিতে চাই—জাতীয় নির্বাচন ডিসেম্বরের মধ্যেই হতে হবে এবং তার প্রস্তুতি এখন থেকেই নেওয়া দরকার।”এ সময় তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে বিএনপির প্রার্থী ইশরাক হোসেনকে দায়িত্ব বুঝিয়ে না দেওয়ার ঘটনায় আমরা অত্যন্ত হতাশ। দুঃখজনকভাবে বলতে হয়, পলাতক স্বৈরাচারী শাসকের পতনের পর যে সরকারের কাছে মানুষ আইনের শাসনের প্রত্যাশা করেছিল, সেই সরকারই আদালতের রায়কে অমান্য করে ইশরাক হোসেনকে দায়িত্ব গ্রহণে বাধা দিয়েছে। এটি পূর্বের স্বৈরাচারী কর্মকাণ্ডেরই পুনরাবৃত্তি।” তিনি আরও বলেন, “যারা আদালতের নির্দেশ মানে না, যারা আইনের প্রতি শ্রদ্ধা দেখায় না, তাদের কাছ থেকে সংস্কারের আশা কতটা করা যায়—এই প্রশ্ন এখন উঠছে।”