বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতায় একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন শুধু একটি প্রশাসনিক দায়িত্ব নয়—এটি একটি জাতীয় চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় যাঁরা নীরবে-নিভৃতে নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন, তাঁদের অন্যতম হলেন জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক (ডিজি), জনাব এ এস এম হুমায়ুন কবীর।
তাঁর প্রশাসনিক দক্ষতা, পেশাগত সততা এবং মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি তাঁকে একজন ব্যতিক্রমধর্মী সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। সাংবাদিক সমাজের অনুসন্ধান এবং সুশীল মহলের বিশ্লেষণে উঠে এসেছে—এই কর্মকর্তা শুধু দায়িত্ব পালন করেন না, বরং দায়িত্বকে একটি মিশনের মতো করে দেখেন। বিশেষ করে জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবস্থাপনা, ভোটার তালিকা সংশোধন ও হালনাগাদ, এবং তথ্য প্রযুক্তির যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমে নাগরিক তথ্যভান্ডারকে স্বচ্ছ, নির্ভরযোগ্য ও দুর্নীতিমুক্ত করার ক্ষেত্রে তাঁর ভূমিকা অনন্য। নাগরিকরা এখন সহজেই সেবা পাচ্ছেন, অভিযোগের দ্রুত নিষ্পত্তি হচ্ছে এবং সিস্টেমের স্বচ্ছতা বৃদ্ধি পেয়েছে—এ সবকিছু সম্ভব হয়েছে তাঁর দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণে। তিনি একজন জনবান্ধব, নিরপেক্ষ এবং দূরদৃষ্টি সম্পন্ন কর্মকর্তা, যিনি শুধু নির্বাচন ব্যবস্থারই নয়, সমগ্র প্রশাসনের একজন আলোকবর্তিকা।
জনাব হুমায়ুন কবীরের নেতৃত্বে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ এখন সাধারণ মানুষের আস্থার প্রতীক। তাঁর আন্তরিকতা, সময়ানুবর্তিতা, কর্মনিষ্ঠা এবং নৈতিক দৃঢ়তা নির্বাচনী ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী ও গ্রহণযোগ্য করে তুলছে। যেখানে দেশব্যাপী একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনের প্রত্যাশা দিন দিন জোরালো হচ্ছে, সেখানে জনাব হুমায়ুন কবীর যেন সেই আশার একটি বাস্তব প্রতিফলন। তিনি দেখিয়েছেন—সততা, দক্ষতা ও মানবিকতাই পারে রাষ্ট্রীয় দায়িত্বকে সম্মানের উচ্চতায় পৌঁছাতে। আমরা বিশ্বাস করি, তাঁর মতো সৎ, দূরদর্শী ও জনমুখী কর্মকর্তার মাধ্যমে একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও সর্বজনগ্রাহ্য নির্বাচন শুধু সম্ভব নয় বাস্তবায়নযোগ্য। আমরা তাঁকে জানাই গভীর শ্রদ্ধা ও আন্তরিক শুভেচ্ছা। তাঁর নেতৃত্বে গঠিত একটি আধুনিক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন ব্যবস্থা হোক বাংলাদেশের গণতন্ত্রের মূল ভিত্তি।