প্রায় ৫০০ অভিনয়শিল্পীকে নিয়ে নির্মিত হয়েছে ঈদের বিশেষ নাটক যাত্রা বিরতি। নাটকটির শুটিং হয়েছে বরিশালের বিলাসবহুল একটি লঞ্চ এবং আশেপাশের প্রত্যন্ত এলাকায়। আকবর হায়দার মুন্নার প্রযোজনায়, সুবাতা রাহিক জারিফার রচনায় এবং আদিফ হাসানের পরিচালনায় এতে অভিনয় করেছেন রাশেদ সীমান্ত, সিনথিয়া ইয়াসমিন, সুমাইয়া অর্পা, বিনয় ভদ্র, হায়দার আলী, বাদল, কাঞ্চনসহ আরও অনেকে।
নাটকের গল্প প্রসঙ্গে পরিচালক আদিফ হাসান জানান, ঈদের আগের রাতে ঢাকার সদরঘাট থেকে বরিশালের উদ্দেশে রওনা দেয় শেষ লঞ্চটি। লঞ্চের সুপারভাইজার দেলোয়ার নিজেকে অতিমাত্রায় জ্ঞানী ভাবলেও বাস্তবে সে সহজ-সরল একজন মানুষ। লঞ্চের যাত্রীদের চাপ এতটাই বেশি যে, তিল ধারণের ঠাঁই নেই। ভিআইপি কেবিনে যাত্রী হিসেবে ওঠে আইরিন ও তার ছোট বোন। নানা অব্যবস্থাপনা দেখে আইরিনের সঙ্গে সুপারভাইজার দেলোয়ারের মতবিরোধ তৈরি হয় এবং এক পর্যায়ে আইরিন তাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়। লঞ্চে দেখা মেলে নানা ধরনের যাত্রীদের—কেউ দীর্ঘ ১৪ বছর পর প্রবাস জীবন শেষে পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে ফিরছে, কেউ কুরবানির জন্য দুটি খাসি নিয়ে যাচ্ছেন, কেউ ভাইয়ের বিয়েতে অংশ নিতে যাচ্ছেন, কেউবা নতুন বউ হিসেবে প্রথমবার শ্বশুরবাড়ি যাচ্ছেন, আবার কেউ দল বেঁধে কাজিনদের সঙ্গে ঈদ করতে বাড়ির পথে। সবার লক্ষ্য একটাই—পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন।
এই মাঝ নদীতেই ঘটে নানা ঘটনা। লঞ্চে ঈদের প্রস্তুতিতে তৈরি হয় উৎসবের আমেজ। কিন্তু হঠাৎই ঘটে দুর্ঘটনা, যাত্রীরা পড়ে আতঙ্কে। শেষ পর্যন্ত তারা নিরাপদে বাড়ি পৌঁছাতে পারে কিনা, তা নিয়েই নাটকের চূড়ান্ত পরিণতি। অভিনেতা রাশেদ সীমান্ত বলেন, “ঈদের জন্য আমি একাধিক নাটকে অভিনয় করেছি, তবে যাত্রা বিরতির গল্পটি আমাকে ভিন্নভাবে টেনেছে। ঈদে লাখো মানুষ নাড়ির টানে বাড়ি ফেরে, কিন্তু সেই যাত্রা সবসময় আনন্দদায়ক হয় না। এমনই এক বাস্তবতাকে ঘিরে তৈরি এই নাটক। প্রায় ৫০০ জন অভিনয়শিল্পী এতে কাজ করেছেন। শুটিং চলাকালীন আমরা অনেক পরিশ্রম করেছি, তবে দর্শকের ভালোবাসায় সেটিই সার্থকতা পাবে।” তিনি আরও জানান, “নাটকটি ঈদের আগের দিন, ৫ জুন বিকাল ৫টায় ক্লাব এলিভেন ইন্টারটেইনমেন্টের ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ করা হবে।”