ইরান-ইসরায়েলের মধ্যে চলমান সংঘাত মঙ্গলবার গড়িয়েছে ১২তম দিনে। এদিনও দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলা অব্যাহত রয়েছে। এর মধ্যে ইসরায়েলের ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ সার্ভিস জানিয়েছে, ইরানের পরপর তৃতীয় দফা ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে অন্তত তিনজন নিহত এবং আরও কয়েকজন আহত হয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বিবিসি ও টাইমস অব ইসরায়েল। ইসরায়েলের জরুরি সেবাদানকারী সংস্থা মাগেন ডেভিড আদম (এমডিএ) জানায়, ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পর ঘন ধোঁয়া উড়তে দেখা যায় এবং সামনের দিকে এগোতেই ব্যাপক ধ্বংসস্তূপ চোখে পড়ে। একটি ভবনের বাইরে একজন পুরুষের মরদেহ পাওয়া যায়। পরবর্তীতে ভবনের ভিতরে তল্লাশি চালিয়ে আরও একজন পুরুষ ও একজন নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিতে তাৎক্ষণিকভাবে একটি ট্রায়াজ পয়েন্ট স্থাপন করা হয়েছে এবং আশপাশের বাসিন্দাদের স্বাস্থ্যপরীক্ষা চলছে।
এমডিএ আরও জানায়, সর্বশেষ সতর্কতা পাওয়ার পর তাদের মেডিক্যাল ও প্যারামেডিক দল তিনজন গুরুতর আহতকে সেবা দিচ্ছে— যাদের মধ্যে রয়েছেন ৪০ বছর বয়সি এক পুরুষ, ৩০ বছর বয়সি এক নারী এবং ২০ বছর বয়সি এক তরুণ। এছাড়া একজনের অবস্থা মাঝারি এবং আরও পাঁচজন সামান্য আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন।
এর আগে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) এক্স প্ল্যাটফর্মে জানায়, ইরান থেকে নতুন করে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ায় সাধারণ মানুষ আবারও আশ্রয়কেন্দ্রের দিকে ছুটছেন। তারা জানায়, গত এক ঘণ্টায় এটি তৃতীয়বারের মতো হামলা, যার ফলে দক্ষিণাঞ্চলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেছে। অন্যদিকে, ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন এক বিবৃতিতে জানায়, কাতারে অবস্থিত মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে ইরানের হামলাকে ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসের (আইআরজিসি) একটি সফল প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে। তবে কাতার কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে, সব ক্ষেপণাস্ত্র সফলভাবে প্রতিরোধ করা হয়েছে। এছাড়াও ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেল আইআরআইএনএন ঘোষণা করে, ইসরায়েলের ওপর সফল হামলার পর যুদ্ধবিরতি কার্যকর করা হয়েছে। ঘোষণায় বলা হয়, কাতারে হামলার পর সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন। রাষ্ট্রীয় টিভির উপস্থাপক এই বিবৃতি পাঠ করেন। এ সময় বিবৃতিতে আইআরজিসি এবং ইরানি সেনাবাহিনীর প্রশংসা করা হয় এবং দেশজুড়ে ইরানিদের প্রতিরোধ উদযাপনের কথা উল্লেখ করা হয়।