মালয়েশিয়া থেকে সম্প্রতি ফেরত আসা তিন বাংলাদেশির বিরুদ্ধে জঙ্গিবাদের কোনো অভিযোগ নেই। তাদের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় সে দেশের প্রশাসন তাদের ফেরত পাঠিয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। রোববার সকালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রপ্তানি কার্গো ভিলেজ পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইতিমধ্যে একটি অফিসিয়াল প্রেস রিলিজ প্রকাশ করেছে। আমরা যারা দেশে ফেরত পেয়েছি, তাদের মূলত ভিসার মেয়াদ শেষ হয়েছিল। এদের বিরুদ্ধে কোনো জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া যায়নি।তিনি আরও বলেন, মালয়েশিয়া বলছে পাঁচজনকে ফেরত পাঠানো হয়েছে, তবে বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত তিনজনই এসেছে। পুলিশের মহাপরিদর্শক জানিয়েছেন, বাকি দুইজন এখনও ফেরেননি। বিষয়টি নিয়ে সরকারি পর্যায়ে মালয়েশিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ হচ্ছে এবং তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানা যাবে।
মালয়েশিয়ায় গ্রেপ্তারকৃতদের বাংলাদেশে কোনো সংশ্লিষ্টতা আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, যাদের নাম এসেছে বা যাদের ধরা হয়েছে, তাদের সঙ্গে দেশের কোনো জঙ্গি সংগঠনের সম্পৃক্ততা নেই। গোয়েন্দা সংস্থাগুলো বিষয়টি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। এখন পর্যন্ত তেমন কোনো প্রমাণ মেলেনি। মালয়েশিয়ার আইজিপি বলছেন, ওই বাংলাদেশিরা আইএসের জন্য অর্থ সংগ্রহ করছিলেন-এই প্রশ্নে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, সেখানকার আইজিপি কী বলেছেন, আমি জানি না। আমাদের হাতে এখন পর্যন্ত কোনো সরকারি বা কূটনৈতিক পর্যায়ের অফিসিয়াল বার্তা আসেনি। আমরা যেটুকু জানি, সেটি একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পেয়েছে। বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার উদ্দেশ্যে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কোনো ষড়যন্ত্র হচ্ছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভালো ব্যাখ্যা দিতে পারবে। আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হিসেবে নিরাপত্তা, তদন্ত ও আইনি দিকগুলো দেখছি। সম্প্রতি মালয়েশিয়ায় এক অভিযানে কয়েকজন বিদেশিকে আটক করা হয়। এদের মধ্যে বাংলাদেশি নাগরিকও ছিলেন বলে দাবি করেছে সে দেশের পুলিশ। তবে বাংলাদেশ সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, এদের বেশিরভাগই অভিবাসন সংক্রান্ত সমস্যার কারণে ফেরত পাঠানো হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ নেই।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ একটি শান্তিপ্রিয় দেশ এবং জঙ্গিবাদবিরোধী জিরো টলারেন্স নীতির কারণে আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত। আমরা সন্ত্রাস বা উগ্রবাদকে কোনোভাবেই প্রশ্রয় দিই না। যদি কোনো ভুল বোঝাবুঝি হয়, তাহলে তা পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে সমাধান করা উচিত।