বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক এবং ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. খন্দোকার এহসানুল কবির জানিয়েছেন, এ বছরের ফলাফলই প্রকৃত এবং এতে কোনো অতিরিক্ত নম্বর বা পক্ষপাতমূলক সিদ্ধান্তের প্রভাব নেই। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা বোর্ডের সম্মেলনকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় ফল প্রকাশ উপলক্ষে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, আগে কীভাবে ফল প্রস্তুত হতো বা কী ঘটেছিল, তা নিয়ে আমরা মন্তব্য করতে চাই না। তবে এবারের ফলাফল যথাযথভাবে উত্তরপত্র মূল্যায়নের ভিত্তিতেই তৈরি হয়েছে, এবং সেটিই প্রকাশ করা হয়েছে। এখানে আমাদের নিজস্বভাবে কিছু করার সুযোগ বা ইচ্ছা ছিল না। চেয়ারম্যান জানান, এবার কোনো বিশেষ নির্দেশনা বা প্রভাব ছিল না। শিক্ষার্থীরা যেটুকু লিখেছে, খাতায় তার ভিত্তিতেই নম্বর পেয়েছে। খাতায় প্রাপ্ত নম্বর হুবহু কম্পিউটারে তুলে দেওয়া হয়েছে। কারো জন্য বাড়তি নম্বর কিংবা ভালো গ্রেড পাওয়ার জন্য বিশেষ সুবিধা দেওয়া হয়নি। ফল তৈরিতে কোনো ধরনের উদারনীতিও গ্রহণ করা হয়নি।
তার ভাষায়, উচ্চপর্যায়ের কোনো চাপ ছিল না। বরং আমাদের বলা হয়েছিল প্রকৃত ফলই প্রকাশ করতে হবে। আমরা পরীক্ষকদেরও সে অনুযায়ী নির্দেশ দিয়েছি, যাতে তারা নিরপেক্ষ ও সঠিকভাবে খাতা মূল্যায়ন করেন। ড. এহসানুল কবির আরও বলেন, যে ফলাফল দেওয়া হয়েছে, সেটাই সঠিক ও প্রমাণভিত্তিক। কাউকে বাড়তি নম্বর বা গ্রেস মার্কস দেওয়া হয়নি। আমরা মেধার যথার্থ মূল্যায়নের সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। পরীক্ষকদের সেভাবেই দায়িত্ব পালনের অনুরোধ জানানো হয়েছিল। তাই ফল নিয়ে কারও অসন্তোষ বা সংশয়ের অবকাশ নেই। বরিশাল বোর্ডের ফলাফল তুলনামূলকভাবে কম হওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, বরিশাল অঞ্চলে খাল-বিল ও দুর্গম এলাকার সংখ্যা বেশি, যার ফলে সেসব জায়গায় শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা কঠিন হয়ে পড়ে। তাছাড়া সাধারণভাবে দেখা যায়, শহর থেকে যত দূরে উপজেলা বা গ্রামীণ এলাকায় যাওয়া হয়, তত পাসের হার কমতে থাকে। কারণ বিভাগীয় শহরগুলোতে রয়েছে ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, যারা বরাবরই ভালো ফলের জন্য সচেষ্ট থাকে। সেজন্য শহরের তুলনায় গ্রামীণ অঞ্চলে কিছু পার্থক্য দেখা যায়।