ইগা শোয়ানটেক উইম্বলডনের ফাইনালে এমন এক ইতিহাস গড়েছেন, যা আধুনিক টেনিসে কল্পনাতীত। শনিবার মেয়েদের একক ফাইনালে মাত্র ৫৭ মিনিটে তিনি আমেরিকান প্রতিদ্বন্দ্বী আমান্ডা আনিসিমোভাকে ৬-০, ৬-০ ব্যবধানে হারিয়ে উইম্বলডন ট্রফি নিজের করে নেন। ওপেন যুগে উইম্বলডনে এটাই প্রথম ‘ডাবল বেগেল’ (৬-০, ৬-০) জয়। এর আগে এমন ঘটনা দেখা গিয়েছিল ১৯১১ সালে, যখন ডোরোথিয়া ল্যাম্বার্ট চেম্বার্স ফাইনালে ডোরা বুথবিকে একই ব্যবধানে পরাজিত করেন। ওপেন যুগে গ্র্যান্ড স্ল্যাম ফাইনালে এর আগে কেবল একবার এমন জয়ের নজির রয়েছে-১৯৮৮ সালের ফ্রেঞ্চ ওপেনে স্টেফি গ্রাফ নাতাশা জেভেরেভকে ৬-০, ৬-০ তে হারান। ফাইনালে একেবারেই ছন্দহীন ছিলেন আনিসিমোভা। পুরো টুর্নামেন্টে দুর্দান্ত পারফরম করলেও ২৩ বছর বয়সী এই আমেরিকান ফাইনালের চাপ সামলাতে পারেননি। ম্যাচ শেষে তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, একটু শকে ছিলাম। তবে নিজেকে বোঝাতে থাকি, "এই অভিজ্ঞতা থেকে আমাকে আরও শক্ত হয়ে ফিরতে হবে।" এটা কোনোভাবেই সহজ অভিজ্ঞতা নয়, গ্র্যান্ড স্ল্যাম ফাইনালে ০-০ ব্যবধানে হার। কিন্তু আমি এটাকে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখব এবং সামনের পথ চলার অনুপ্রেরণা হিসেবে নেব।’
শোয়ানটেক ছিলেন চূড়ান্ত ফর্মে। তিনি বলেন, ‘সত্যি বলতে, কখনো কল্পনাও করিনি উইম্বলডন জিতব। মনে হতো, এই টুর্নামেন্ট আমার নাগালের বাইরে। আমি আগেও গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিতেছি বলে নিজেকে অভিজ্ঞ মনে করি, কিন্তু এই শিরোপার ব্যাপারে কখনো প্রত্যাশা ছিল না। আমার দলকে ধন্যবাদ জানাই, তারাই আমাকে বিশ্বাস করেছে-যেখানে আমি নিজেই দ্বিধায় ছিলাম।’ এই জয়ের মাধ্যমে শোয়ানটেকের গ্র্যান্ড স্ল্যাম সংখ্যা দাঁড়াল ছয়ে। এর মধ্যে চারটি ফ্রেঞ্চ ওপেন, একটি ইউএস ওপেন (২০২২), এবং এবার প্রথম উইম্বলডন। ওপেন যুগে তিন ধরনের কোর্টে গ্র্যান্ড স্ল্যাম জেতা অষ্টম নারী হিসেবে জায়গা করে নিয়েছেন তিনি।