ক্লাব বিশ্বকাপ ফাইনালে ছিল নাটকীয়তা ও উত্তেজনার অভাব নেই একটুও। একদিকে চেলসির উল্লাস, অন্যদিকে ট্রফি তুলে দিতে গিয়ে দর্শকদের দুয়োর মুখে পড়লেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নিউ জার্সির মেটলাইফ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ফাইনালে চ্যাম্পিয়ন চেলসিকে ট্রফি দিতে এসে অদ্ভুত এক অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে গেলেন তিনি। ট্রফি প্রদান অনুষ্ঠানে মঞ্চের কেন্দ্রে দাঁড়িয়ে ছিলেন ট্রাম্প। লাল টাই পরে হাসিমুখে চেলসির অধিনায়ক রিস জেমসের হাতে ট্রফি তুলে দেন তিনি। খেলোয়াড়দের সঙ্গে হাততালি দিয়ে এবং লাফিয়ে উল্লাসেও অংশ নেন। তবে এর আগেই শুরু হয় সমালোচনার গুঞ্জন। ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনোর সঙ্গে মাঠে প্রবেশের সময় গ্যালারি থেকে ওঠে জোরালো দুয়ো, যা সামাল দিতে গানের শব্দ বাড়ানো হয়। ম্যাচ শুরুর আগেও ট্রাম্পের উপস্থিতি মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি করে। জাতীয় সংগীত চলাকালে জায়ান্ট স্ক্রিনে যখন ট্রাম্পকে স্যালুট দিতে দেখা যায়, তখনও কিছু দর্শক দুয়ো দেন, যদিও দ্রুত ক্যামেরা সরিয়ে নেওয়া হয়। তবে এসব নেতিবাচকতা ট্রাম্পের উদ্দীপনাকে দমিয়ে রাখতে পারেনি। তিনি কেবল চেলসির খেলোয়াড়দের হাতে ট্রফি তোলেননি, বরং ম্যাচসেরা কোল পালমারকে ‘গোল্ডেন বল’ পুরস্কার দেন এবং পরাজিত পিএসজির খেলোয়াড়দের সঙ্গেও করমর্দন করেন।
এই ম্যাচটি ট্রাম্পের জন্য আরও তাৎপর্যপূর্ণ ছিল, কারণ এ দিনটি ছিল সেই হত্যাচেষ্টার এক বছর পূর্তি, যা থেকে তিনি পেনসিলভানিয়ায় এক নির্বাচনী প্রচারণায় বেঁচে গিয়েছিলেন। সে উপলক্ষেই আবারও জনসম্মুখে দেখা গেল তাঁকে। ২০২৫ সালের ক্লাব বিশ্বকাপ এবং ২০২৬ সালের বিশ্বকাপকে 'গোল্ডেন এজ অব আমেরিকা' হিসেবে উপস্থাপন করতে চান ট্রাম্প। এই একই স্টেডিয়ামে হবে ২০২৬ সালের ফাইনালও, যা যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ২৫০ বছর পূর্তির সাথে মিলে যাচ্ছে। এই আয়োজনগুলোর সফল বাস্তবায়নে ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে একটি বিশেষ টাস্ক ফোর্স গঠন করেছেন। ফিফা সভাপতি ইনফান্তিনো জানিয়েছেন, ফুটবলের প্রতি ট্রাম্পের ব্যক্তিগত আগ্রহও রয়েছে। তাঁর ছেলে ব্যারন ফুটবলভক্ত, আর সেই আগ্রহ ট্রাম্প নিজেও ভাগ করে নিয়েছেন। ছোটবেলায় নিউ ইয়র্ক মিলিটারি অ্যাকাডেমিতে এক মৌসুম তিনি ফুটবলও খেলেছিলেন।