ময়মনসিংহের ভালুকায় একই পরিবারের তিন সদস্যকে গলা কেটে নির্মমভাবে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। ঘটনা ঘটে রোববার (১৩ জুলাই) রাতের কোনো এক সময়, পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের খারুয়ালি এলাকায়। পরদিন সোমবার সকালে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহগুলো উদ্ধার করে। নিহতরা হলেন-নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলার সেনের বাজার গ্রামের রফিকুল ইসলামের স্ত্রী ময়না বেগম (২৫), মেয়ে রাইসা বেগম (৭) এবং ছেলে নিরব (২)। স্থানীয় পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দেড় মাস আগে রফিকুল ইসলাম ও তার ছোট ভাই নজরুল ইসলাম খারুয়ালি এলাকার ফাইয়ুম মিয়ার দুই কক্ষবিশিষ্ট একটি বাসা ভাড়া নেন। রফিকুল কাঠালি এলাকার রাসেল মিলে চাকরি করতেন এবং নজরুল অটোরিকশা চালাতেন। প্রতিদিনের মতো রোববার রাতে রফিকুল তার কর্মস্থলে চলে যান। সকালে কাজে শেষে বাসায় ফিরে দেখেন, বারান্দার গেট তালাবদ্ধ। অনেক ডাকাডাকি করেও কোনো সাড়া না পেয়ে বাসার মালিককে নিয়ে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢোকেন। তখনই তিনি স্ত্রী ও দুই সন্তানের রক্তাক্ত মরদেহ বিছানায় পড়ে থাকতে দেখেন।
খবর পেয়ে ভালুকা মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহগুলো উদ্ধার করে। ঘটনাস্থল থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি দা ও রক্তমাখা বিছানার চাদরও জব্দ করা হয়। হত্যার কারণ সম্পর্কে পুলিশ বা স্থানীয়রা কেউই কিছু নিশ্চিত করে বলতে পারেনি। রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘রোববার সন্ধ্যায় আমি কাজে বের হয়ে যাই। সকালে ফিরে দেখি বারান্দার তালা লাগানো। তালা ভেঙে ঢুকে দেখি আমার স্ত্রী ও দুই সন্তানকে হত্যা করা হয়েছে। কেন এই হত্যাকাণ্ড, বুঝে উঠতে পারছি না। আমার ভাই নজরুলকেও খুঁজে পাচ্ছি না।’
ভালুকা মডেল থানার ওসি হুমায়ুন কবির জানান, ঘটনার পর থেকেই নিহতদের দেবর নজরুল ইসলাম পলাতক। ধারণা করা হচ্ছে, হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তার সম্পৃক্ততা রয়েছে। তার বিরুদ্ধে গাজীপুরে একটি হত্যা মামলা রয়েছে বলেও জানান তিনি।