নরসিংদীর একটি মাদক ব্যবসায়ীর বাড়িতে পাঁচ দিন ধরে আটকে রেখে এক তরুণকে নির্যাতনের পর হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। নিহত যুবকের নাম সাজিদ হোসেন (২২), যিনি বাগহাটা গ্রামের বাসিন্দা এবং আব্দুল আজিজের ছেলে। সোমবার (১৪ জুলাই) সকালে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এই ঘটনায় অভিযুক্ত করা হয়েছে স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ী দুলাল মিয়াকে (৩০), যিনি টেকপাড়া এলাকার আতাউর রহমানের ছেলে। স্থানীয়রা-রফিকুল ইসলাম, জোবায়েরসহ অনেকে জানিয়েছেন, দুলাল একজন প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতার অনুসারী হওয়ায় দিন দিন তার দৌরাত্ম্য বাড়ছে। সাজিদকে নানা লোভ দেখিয়ে পরিবারের কাছ থেকে দূরে সরিয়ে মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে ফেলে দুলাল। ধারণা করা হচ্ছে, তাদের ব্যবসায় কোনো দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়েছিল, যার জেরে সাজিদকে হত্যা করে পালিয়েছে দুলাল ও তার সহযোগীরা।
নিহতের মা মুসলেমা বেগম বলেন, “আমার একমাত্র ছেলেকে টানা পাঁচ দিন ধরে নির্মমভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। তাকে বাঁচাতে আমাদের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা দাবি করা হয়েছিল। আমরা টাকা দিতে না পারায় তারা আমাদের বাড়ির দলিল চেয়েছিল। রোববার বিকেলে আমরা দুলালের বাড়িতে গিয়েছিলাম, কিন্তু আমাদের ছেলেকে দেখতে দেওয়া হয়নি। আর আজ তার নিথর দেহ ফিরে পেলাম। আমি আমার সন্তানের খুনিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে কঠোর শাস্তি চাই।”
নরসিংদী সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এমদাদুল হক বলেন, “মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহত যুবকের বিরুদ্ধে একাধিক মাদক মামলা রয়েছে এবং যার বাড়ি থেকে মরদেহ উদ্ধার হয়েছে, তারাও পরিচিত মাদক কারবারি। কী কারণে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা যায়নি। মামলা প্রক্রিয়াধীন।”