বিশ্বের সর্বাধিক জনপ্রিয় ক্রিপ্টোকারেন্সি বিটকয়েন আবারও একটি নতুন রেকর্ড গড়েছে। ১৪ জুলাই সকালে এশিয়ার বাজারে এর দাম পৌঁছায় ১ লাখ ২২ হাজার ৮৯০ ডলারে, যা এ পর্যন্ত ইতিহাসে সর্বোচ্চ। বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত বিটকয়েনের মূল্য প্রায় ২৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রে নীতিগত অগ্রগতি এবং সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সরাসরি সমর্থন এই ঊর্ধ্বগতির পেছনে মূল চালিকা শক্তি হিসেবে কাজ করছে। চলতি সপ্তাহে মার্কিন কংগ্রেসে ‘জিনিয়াস অ্যাক্ট’, ‘ক্ল্যারিটি অ্যাক্ট’ এবং ‘অ্যান্টি-সিবিডিসি সার্ভেইলেন্স অ্যাক্ট’-এর মতো আইন নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে ডিজিটাল অ্যাসেট খাতের জন্য একটি সুসংগঠিত আইনগত কাঠামো প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আইজি মার্কেটসের বিশ্লেষক টনি সাইকামোর মতে, ‘প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ, ভবিষ্যৎ মুনাফার প্রত্যাশা এবং ট্রাম্পের সমর্থন-এই তিনটি উপাদান বিটকয়েনকে এখন এক শক্তিশালী ইতিবাচক স্রোতে এগিয়ে নিচ্ছে।’ তার ধারণা, ১ লাখ ২৫ হাজার ডলারের মাইলফলক স্পর্শ করাও এখন কেবল সময়ের অপেক্ষা।
বিটকয়েনের এই মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব পুরো ক্রিপ্টোকারেন্সি বাজারেই পড়েছে। ইথার, রিপল এবং সোলানার মতো জনপ্রিয় টোকেনগুলোর দাম গড়ে ২ থেকে ৩ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। এর ফলে সামগ্রিক বাজারমূল্য দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩.৭৮ ট্রিলিয়ন ডলারে। এমনকি হংকংয়ের বাজারেও স্পট বিটকয়েন এবং ইথার ইটিএফগুলোর দর পৌঁছেছে নতুন রেকর্ড উচ্চতায়।সব মিলিয়ে এই সপ্তাহটিকে ‘ক্রিপ্টো সপ্তাহ’ বললেও ভুল হবে না-যেখানে পুরো বিশ্ব যেন এক নতুন ডিজিটাল যুগের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে।