দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)-এর প্রশাসনিক কাঠামোতে বড় ধরনের পরিবর্তন এসেছে। সরকার এই প্রতিষ্ঠানে নতুন সচিব হিসেবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ খালেদ রহীমকে নিয়োগ দিয়েছে। বুধবার (১৬ জুলাই) সকালে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এই নিয়োগ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে জারিকৃত উক্ত প্রজ্ঞাপনে স্বাক্ষর করেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ রফিকুল হক। প্রজ্ঞাপনে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, জনস্বার্থে জারিকৃত এই আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে। অর্থাৎ মোহাম্মদ খালেদ রহীম এখন থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে দুদকের নতুন সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। দুর্নীতির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে দুদক একটি গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা। এখানে সচিবের দায়িত্ব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও প্রভাবশালী, কারণ তিনি কমিশনের প্রশাসনিক ও আর্থিক কর্মকাণ্ড তদারকি করে থাকেন। অতএব, নতুন সচিবের দায়িত্ব গ্রহণের ফলে কমিশনের কাজের গতিশীলতা এবং নীতিনির্ধারণী কার্যক্রমে নতুন মাত্রা যোগ হবে বলে প্রশাসনিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
অন্যদিকে, জাতীয় সংসদ সচিবালয়েও প্রশাসনিক কাঠামোয় পরিবর্তন এসেছে। গত ১৪ জুলাই জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে পৃথক একটি আদেশে জানানো হয়, সংসদ সচিবালয়ের নতুন সচিব হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন কানিজ মওলা। তিনি বিদায়ী সচিব মো. মিজানুর রহমানের স্থলাভিষিক্ত হয়ে দায়িত্ব পালন করবেন। জাতীয় সংসদ সচিবালয় একটি সংবিধানিক প্রতিষ্ঠান, যেখানে সচিবের দায়িত্ব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সংসদ অধিবেশন, সংসদীয় কমিটির কার্যক্রম ও সংসদ সদস্যদের প্রশাসনিক সহযোগিতা নিশ্চিত করাসহ বিভিন্ন দাপ্তরিক বিষয় সচিব তদারকি করেন। নতুন সচিব হিসেবে কানিজ মওলার নিয়োগ প্রশাসনে অভিজ্ঞ নারীদের অংশগ্রহণ ও নেতৃত্ব বৃদ্ধির আরেকটি ইতিবাচক দৃষ্টান্ত হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। দুদক ও সংসদ সচিবালয়ের এই পরিবর্তন প্রশাসনিক গতিশীলতার অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট মহল আশা করছে, নতুন এই নিয়োগদ্বয়ের মাধ্যমে উভয় সংস্থার কর্মকাণ্ডে আরও স্বচ্ছতা, জবাবদিহি ও দক্ষতা নিশ্চিত হবে।