যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পায়ে ফোলা এবং হাতে কালশিটে দাগ দেখা দেওয়ার পর চিকিৎসকেরা তার শরীরে ‘ক্রনিক ভেনাস ইনসাফিসিয়েন্সি’ বা দীর্ঘমেয়াদি শিরা-সংক্রান্ত রক্ত চলাচলের সমস্যা শনাক্ত করেছেন। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) এক সংবাদ সম্মেলনে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র ক্যারোলিন লেভিট এ তথ্য জানান-রয়টার্সের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এমনটাই। লেভিট বলেন, ‘এটি একটি সাধারণ এবং ক্ষতিকর নয় এমন শারীরিক অবস্থা, যেখানে শিরাগুলোর ক্ষতির কারণে রক্ত স্বাভাবিকভাবে চলাচল করতে পারে না।’ তিনি প্রেসিডেন্টের চিকিৎসকের চিঠি পড়ে শোনান, যাতে উল্লেখ করা হয়—৭০ বছরের বেশি বয়সিদের মধ্যে এ ধরনের শিরাজনিত সমস্যা বেশি দেখা যায়। ৭৯ বছর বয়সী ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি বয়সে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন।
২০২৪ সালের নির্বাচনের সময় ট্রাম্প প্রতিদ্বন্দ্বী জো বাইডেনের বয়স ও মানসিক সক্ষমতা নিয়ে নানা প্রশ্ন তুলেছিলেন। যদিও বাইডেন ট্রাম্পের চেয়ে তিন বছরের বড় এবং নির্বাচনের কিছু আগে নিজ দলের চাপে প্রার্থীতা থেকে সরে দাঁড়িয়ে তা তুলে দেন সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের হাতে। শেষ পর্যন্ত নভেম্বরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে তাকেও হারান ট্রাম্প। তবে হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের শরীরে কোনো গুরুতর অসুস্থতার লক্ষণ পাওয়া যায়নি। লেভিট বলেন, ‘তার শরীরে গভীর শিরায় রক্ত জমাট বাঁধা বা ধমনী সংকটের কোনো প্রমাণ নেই। হার্ট, কিডনি ও অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গও স্বাভাবিকভাবে কাজ করছে।’ সম্প্রতি ট্রাম্পের হাতে কালশিটে দাগ নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে নানা জল্পনা-কল্পনা ছড়িয়ে পড়ে। এ প্রসঙ্গে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জানান, ‘এই দাগগুলো মূলত নরম টিস্যুতে হালকা জ্বালা বা রক্তক্ষরণের ফলে হয়েছে, যা ঘন ঘন হাত মেলানো এবং নিয়মিত অ্যাসপিরিন সেবনের কারণে হয়ে থাকে। প্রেসিডেন্ট হার্ট সুরক্ষার নিয়মিত চিকিৎসা পরিকল্পনার অংশ হিসেবে অ্যাসপিরিন গ্রহণ করেন।’