সব অনিশ্চয়তা কাটিয়ে শেষমেশ মুক্তি পেতে চলেছে দক্ষিণী তারকা পবণ কল্যাণ অভিনীত ‘হরি হারা বীরা মালু’। আগামী ২৪ জুলাই বড় পর্দায় আসছে এই বহুল আলোচিত সিনেমাটি। তবে মুক্তির খবরে আনন্দ থাকলেও চাপ অনুভব করছেন পবণ কল্যাণ। ভারতীয় গণমাধ্যম জানায়, প্রায় ২৫০ কোটি রুপি ব্যয়ে নির্মিত হয়েছে ‘হরি হারা বীরা মালু’। প্রাথমিক বাজেট তুলনায় অনেক বেশি খরচ হয়েছে অতিরিক্ত শুটিং ও দীর্ঘ পোস্ট-প্রোডাকশনের কারণে। ফলে এটি এখন পবণ কল্যাণের ক্যারিয়ারের সবচেয়ে ব্যয়বহুল প্রজেক্টে পরিণত হয়েছে। লোকসানের আশঙ্কা এড়াতে ছবিটিকে বক্স অফিসে বিশাল পরিমাণে আয় করতে হবে। চলচ্চিত্রটি যদি সফল হতে চায়, তাহলে অন্তত ২৫০ কোটি রুপি ঘরোয়া বাজার থেকে আয় করতে হবে, যা একটি বিশাল লক্ষ্য। পবণ কল্যাণের এখন পর্যন্ত সবচেয়ে সফল সিনেমা ‘ভীমলা নায়ক’, যার আয় ছিল ১১৩ কোটি রুপি। সেদিক থেকে তুলনা করলে, ‘হরি হারা বীরা মালু’-এর আয় হওয়া চাই তার প্রায় দ্বিগুণেরও বেশি, যা নির্মাতাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। শুধু প্রথম সপ্তাহে নয়, দ্বিতীয় সপ্তাহেও সিনেমাটিকে ভালো পারফর্ম করতে হবে।
তেলুগু চলচ্চিত্র জগতে পবণ কল্যাণ অন্যতম জনপ্রিয় তারকা এবং তার বিশাল ভক্তবৃন্দ রয়েছে, যারা সিনেমাটি ঘিরে দারুণ আশাবাদী। তবে বক্স অফিসের ফলাফল কেবল তারকাখ্যাতির ওপর নির্ভর করে না-রিভিউ ও দর্শকদের প্রতিক্রিয়াও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। অন্যদিকে, পবণ কল্যাণের সিনেমা মুক্তির ঠিক এক সপ্তাহ পর আসছে বিজয় দেবরকোন্ডার নতুন ছবি ‘কিংডম’। ইতোমধ্যে সেই ছবির প্রতি দর্শকদের আগ্রহ লক্ষ্য করা গেছে। যদিও বিজয় পবণের মতো সুপারস্টার নন, তবুও তারও আলাদা একটি ফ্যানবেজ রয়েছে। সুতরাং এখানেও প্রতিযোগিতা দেখা যেতে পারে। ‘হরি হারা বীরা মালু’ নির্মিত হয়েছে স্বাধীনতা সংগ্রামী বীরা মালুর জীবনকে কেন্দ্র করে। সিনেমার গল্প সাজানো হয়েছে মোগল সাম্রাজ্যের প্রেক্ষাপটে। পবণের বিপরীতে অভিনয় করেছেন ২৮ বছর বয়সি অভিনেত্রী নিধি আগরওয়াল। এছাড়া সিনেমায় আরও রয়েছেন ববি দেওল, নার্গিস ফাখরি, নোরা ফাতেহি, সত্যরাজ, সুনীল, যীশু সেনগুপ্তসহ আরও অনেকে।