ঢাকার ধামরাইয়ে পুলিশের হাতে এক প্রবাসীর স্ত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। লাশ উদ্ধারকালে ঘটনাস্থল থেকে একটি চিরকুটও পাওয়া গেছে, যার মাধ্যমে জানা গেছে ওই নারী কেন আত্মহত্যা করেছেন।বৃহস্পতিবার (১৯ জুলাই) রাতে বালিয়া ইউনিয়নের নয়াচর গ্রামের মো. জালালউদ্দিনের বাড়ি থেকে লাশটি উদ্ধার করেছে কাওয়ালীপাড়া তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ। নিহত রোমানা বেগম (২৫) বালিয়া ইউনিয়নের বাইচাইল গ্রামের সৌদি প্রবাসী মো. বারণ আলীর স্ত্রী ছিলেন। তিনি নয়াচর গ্রামের মো. জালালউদ্দিনের কন্যা। রোমানার পাশে পাওয়া চিরকুটে লেখা ছিল, ‘প্রিয় স্বামী, আমার সংসার নষ্ট করার জন্য জিহাদের মামা-মামী ও নুরনবী ষড়যন্ত্র করছে। তারা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ দিয়েছে বারণের কাছে এবং আমাকে খারাপ রূপে তুলে ধরেছে। এলাকার মানুষজনও আমাকে খারাপ চোখে দেখে। আমি আর আমার এই মুখ কাউকে দেখাতে পারব না। তাই গলায় ফাঁস দিয়ে মৃত্যুবরণ করছি। আমার মৃত্যুর জন্য আনোয়ার, নুরনবী ও নারগিস দায়ী। যাদের কারণে আমি এই পৃথিবী ছেড়ে যেতে বাধ্য হলাম। তোমার বউ।’
এদিকে, ঘটনার পর থেকে চিরকুটে নাম উল্লেখ করা আনোয়ার, নারগিস ও নুরনবী পলাতক রয়েছেন। তাদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিলেও তারা সাড়া দেননি। স্থানীয় মজিবর বলেন, কয়েক বছর আগে রোমানা বারণের সঙ্গে বিয়ে হয়। তাদের কোনো সন্তান নেই। বারণ বর্তমানে সৌদি আরবে থাকেন। এর আগে তার আরেকটি বিয়ে হয়েছিল, কিন্তু সে স্ত্রী চলে গেছে। নিহতের বড় বোন অভিযোগ করেন, ‘আমার বোনকে তার দেবর নুরনবী ও আনোয়ার নির্যাতন করেছে। শ্বশুরবাড়ির লোকজনের জুলুমের কারণে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে আমার বোন। আমরা এর ন্যায়বিচার চাই।’ কাওয়ালীপাড়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মো. নুর আলম জানান, ‘গৃহবধূর আত্মহত্যার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। একই সঙ্গে একটি চিরকুট পাওয়া গেছে। মৃত্যুর সঠিক কারণ জানার জন্য লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।’