রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার পর এখনও সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ) এর মর্গে ছয়টি মরদেহ রাখা রয়েছে, যাদের পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। এই মৃতদেহগুলো সম্পর্কে দ্রুত পরিচয় নিশ্চিত করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ডিএনএ নমুনা সংগ্রহের জন্য সংশ্লিষ্ট পরিবারের সদস্যদের সহযোগিতা চেয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিচয় নির্ধারণের জন্য বিশেষজ্ঞদের তত্ত্বাবধানে ইতোমধ্যে এসব মরদেহ থেকে ডিএনএ প্রোফাইলিংয়ের জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। ডিএনএ নমুনা সংগ্রহের কাজ সম্পন্ন হওয়া পর দ্রুত সিআইডি’র ল্যাবরেটরিতে এসব নমুনার বিশ্লেষণ শুরু হবে। এর মাধ্যমে দ্রুত এবং নির্ভুলভাবে মৃতদেহের পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হবে, যা পরিবারের প্রতি সঠিক তথ্য জানাতে সাহায্য করবে। এদিকে, যেসব পরিবারের সদস্য বা সন্তান ওই দুর্ঘটনায় নিখোঁজ রয়েছেন, তাদের মালিবাগস্থ সিআইডি ভবনে এসে ডিএনএ ম্যাচিংয়ের জন্য নমুনা দিতে অনুরোধ করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হলে শীঘ্রই ডিএনএ ম্যাচিংয়ের মাধ্যমে পরিচয় নিশ্চিত করা যাবে, যা নিখোঁজদের সন্ধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এই প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, এখন পর্যন্ত মাত্র একটি পরিবারের পক্ষ থেকে ডিএনএ নমুনা প্রদান করা হয়েছে, যা সামগ্রিক কার্যক্রমে সাহায্য করেছে। তবে, অন্যান্য নিখোঁজদের পরিবারের প্রতি জরুরি অনুরোধ জানানো হয়েছে যেন তারা দ্রুত নমুনা দিয়ে সহযোগিতা করেন যাতে শনাক্তকরণের কাজ দ্রুত শেষ করা যায় এবং নিখোঁজের জন্য শোকসন্তপ্ত পরিবারগুলোকে যথাসময়ে নিশ্চিত তথ্য দেওয়া সম্ভব হয়। এই উদ্যোগটি সরকারের পক্ষ থেকে নিহত ও নিখোঁজ ব্যক্তিদের দ্রুত সনাক্তকরণ এবং তাদের পরিবারের কাছে সহমর্মিতা প্রকাশের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। পাশাপাশি, এই প্রক্রিয়ায় সংশ্লিষ্ট সকল কর্তৃপক্ষ ও বিশেষজ্ঞরা একযোগে কাজ করে যাচ্ছেন যাতে কোনো ধরণের ভুলবশত পরিচয় বিভ্রাট বা বিলম্ব না ঘটে। ফলে, নিখোঁজ ব্যক্তিদের সন্ধান পেতে এবং তাদের পরিবারের দীর্ঘ প্রতীক্ষা শেষ করতে এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যবস্থা বলে মনে করা হচ্ছে।