ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস তিন দিনব্যাপী ‘গ্লোবাল প্রোটেস্ট’-এর আহ্বান জানিয়েছে। গাজায় ‘ক্ষুধার অপরাধ বন্ধে’ বিশ্বজুড়ে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে তারা। বুধবার (২৩ জুলাই) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা হামাসের দেওয়া এক বিবৃতির বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে। হামাস বিশ্বের সব ‘মুক্তিকামী মানুষের’ প্রতি ২৫, ২৬ ও ২৭ জুলাই বিক্ষোভ মিছিল, অবস্থান কর্মসূচি এবং সমাবেশ আয়োজনের আহ্বান জানিয়েছে। ওই সময়ে যদি ইসরায়েলের ওপর কোনো আন্তর্জাতিক চাপ না আসে এবং গাজার অবরোধ না ভাঙে ও দুর্ভিক্ষ না থামে, তাহলে ভবিষ্যতেও প্রতিবাদ কর্মসূচি অব্যাহত রাখার অনুরোধ জানানো হয়েছে। হামাসের টেলিগ্রামে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মানুষ এখন ক্ষুধা ও অপুষ্টিতে প্রাণ হারাচ্ছে। দুর্ভিক্ষের করাল ছায়া সবচেয়ে বেশি পড়েছে শিশু, নারী ও প্রবীণদের ওপর। এমন সময়, যখন বিশ্ব একটি রহস্যজনক নীরবতা পালন করছে এবং সংকট মোকাবেলায় কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না-এই কর্মসূচি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় হয়ে উঠেছে।
তারা আরও বলেছে, আগামী দিনগুলো যেন দখলদারদের জন্য কান্নায় ভরা হয় এবং যারা নিরব-তাদের জন্য লজ্জাজনক হয়ে ওঠে। সমগ্র বিশ্বের মানুষ যেন এক কণ্ঠে বলে ওঠে-‘ক্ষুধার অপরাধ বন্ধ করো’। উল্লেখ্য, গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে বিশ্বজুড়ে যেসব কর্মসূচি হয়েছে, তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশেও নানাভাবে সংহতি প্রকাশ করা হয়েছে। ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত ‘মার্চ ফর গাজা’ শীর্ষক এক কর্মসূচিতে বিপুল সংখ্যক মানুষের উপস্থিতিতে গাজার পক্ষে একটি ঘোষণাপত্র পাঠ করা হয়, যেখানে ইসরায়েলের সঙ্গে সব ধরনের চুক্তি বাতিল ও সম্পর্ক ছিন্ন করার আহ্বান জানানো হয়। ঘোষণাপত্রে গাজার জনগণের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয় এবং চারটি স্তরে দাবিসমূহ তুলে ধরা হয়। ‘প্যালেস্টাইন সলিডারিটি মুভমেন্ট বাংলাদেশ’ ব্যানারে আয়োজিত সেই কর্মসূচিতে ঘোষণাপত্র পাঠ করেন দৈনিক আমার দেশ-এর সম্পাদক মাহমুদুর রহমান। এরপর বছরজুড়ে বিভিন্ন সংগঠন গাজাবাসীর প্রতি সংহতি জানিয়ে সভা, বিক্ষোভ, মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা চালিয়ে যাচ্ছে।