উত্তরায় বিমান বিধ্বস্তের মর্মান্তিক ঘটনায় নিভে গেল সপ্তম শ্রেণির ছাত্র উক্যসাইন মারমা (১৪)-এর জীবনপ্রদীপ। প্রাণহীন দেহ হয়ে ফিরল রাঙামাটির রাজস্থলী উপজেলার বাঙালহালিয়া ইউনিয়নের কলেজপাড়া গ্রামের এই মেধাবী কিশোর। উক্যসাইন ছিলেন উসাইমং মারমা ও তেজিপ্রু মারমার সন্তান। বাবা উসাইমং রাজস্থলী উপজাতীয় আবাসিক বিদ্যালয়ে কৃষি শিক্ষক এবং মা তেজিপ্রু মারমা রুমা উপজেলার ক্যটেইনপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষিকা হিসেবে কর্মরত। বিমান বিধ্বস্তে গুরুতর আহত হয়ে উক্যসাইনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার রাতে তার মৃত্যু হয়।
মঙ্গলবার সকালে রাজস্থলীর কলেজপাড়া এলাকায় উক্যসাইনের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, চারপাশে শোকের ছায়া। তার দাদা কংহ্লাপ্রু বলেন, ‘নাতি আমাকে খুব ভালোবাসত। সে খুবই মেধাবী ছিল।’ পিসি হ্লামাচিং মারমা জানান, ‘সর্বশেষ সাক্রাইন উৎসবে সে বাড়িতে এসেছিল। আষাঢ়ী পূর্ণিমার দিন মোবাইল ফোনে আমাদের শেষ কথা হয়েছিল। বড় ভাইয়ের স্বপ্ন ছিল ছেলেকে ক্যাডেট কলেজে ভর্তি করানো।’ উক্যসাইনের বাবা উসাইমং বলেন, ‘মঙ্গলবার লাশ নিয়ে বাড়ি ফিরেছি। বুধবার নিজ গ্রাম বাঙালহালিয়ায় তার শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হবে।’ আত্মীয়-স্বজন ও শুভানুধ্যায়ীদের শেষকৃত্যে অংশগ্রহণ করে পুণ্যরাশি দানের আহ্বান জানান তিনি। এ ঘটনায় ইউপিডিএফ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, উত্তরার মতো ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিধ্বস্ত হওয়া এবং এত প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না।