পাকিস্তানের জনপ্রিয় মডেল ও অভিনেত্রী হুমাইরা আসগরের মৃত্যুর রহস্য আরও জটিল হয়ে উঠছে। ৮ জুলাই করাচির একটি ফ্ল্যাট থেকে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে। তদন্তকারীদের ধারণা, হুমাইরা অন্তত ৮ থেকে ১০ মাস আগে মারা গেছেন। জিও নিউজের রিপোর্ট অনুযায়ী, তল্লাশির সময় হুমাইরার ফ্ল্যাট থেকে তিন থেকে চারটি মাটির পাত্রে রহস্যময় সাদা পাউডার উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশ জানায়, এই পাউডারের নমুনা পরীক্ষার জন্য ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত এই পাউডারের উপস্থিতির কোনো যৌক্তিক ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি। পুলিশ বলেছে, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে রাসায়নিক পরীক্ষার ফলাফল পাওয়ার অপেক্ষা করতে হবে।
এর আগে করাচি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ল্যাব থেকে প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়েছিল, হুমাইরার দেহের নমুনা পরীক্ষায় কোনো চেতনানাশক, মাদক বা বিষাক্ত পদার্থের উপস্থিতি ধরা পড়েনি। গত শুক্রবার প্রকাশিত ওই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়, হুমাইরার মৃত্যু সম্ভবত স্বাভাবিক কারণেই হয়েছে। তদন্তের আগের প্রতিবেদনেও বলা হয়েছিল যে, এখন পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, হুমাইরার মৃত্যু স্বাভাবিক বা দুর্ঘটনাজনিত হতে পারে। তদন্তকারীরা আরও জানান, ওই সময় হুমাইরা মারাত্মক আর্থিক সংকটে ছিলেন এবং কাজের অভাবে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন। তার মোবাইলের মেসেজ বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, তিনি বারবার কাজ পাওয়ার জন্য পরিচিতদের কাছে অনুরোধ করেছেন, তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে তার অনুরোধকে উপেক্ষা করা হয়েছে।
জানা গেছে, নভেম্বর মাসে ওই ভবনের দ্বিতীয় তলার বাসিন্দারা হুমাইরার ফ্ল্যাট থেকে দুর্গন্ধ পাওয়ার বিষয়ে ভবনের প্রহরীকে জানানো হয়েছিল। কিন্তু বাড়ির মালিকপক্ষ ঘটনাটি গুরুত্ব না দেওয়ায় তৎক্ষণাৎ কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। কর্মকর্তারা মনে করছেন, গন্ধ শনাক্তে এই দেরির কারণেই দুর্গন্ধের মাত্রা কমে গেছে। এছাড়া জানা গেছে, দুর্ঘটনার সময় হুমাইরা কাপড় ধুচ্ছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি বাথরুম থেকে বের হওয়ার সময় কোনো কারণে ধাক্কা খেয়ে পড়ে যান এবং সেখানেই মারা যান। তার রান্নাঘরে কোনো খাবারের চিহ্ন পাওয়া যায়নি, যদিও মোবাইলে একটি ফুড ডেলিভারি অ্যাপ ছিল যা কাজ করছিল না।