‘দশে মিলে করি কাজ, হারি জিতি নাহি লাজ’-চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে যেন সেই নীতিতেই খেলতে নেমেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দলীয় চেষ্টায় ২০৬ রানের বিশাল স্কোর গড়েছিল তারা। তবে দলের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস ছিল মাত্র ৩১ রান, অর্থাৎ সম্মিলিত পারফরম্যান্সেই গড়া হয় এই পাহাড়সম পুঁজি। তবুও শেষ পর্যন্ত এই রানের পাহাড়ও অস্ট্রেলিয়ার সামনে ঠেকিয়ে রাখা গেল না। সফরকারীরা ৪ বল আর ৩ উইকেট হাতে রেখেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায়-ক্যারিবিয়ান মাটিতে তাদের আধিপত্য ধরে রাখে। শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে খেলতে নামে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ওপেনার ব্রেন্ডন কিং ১৮ রান করে আউট হন, শাই হোপ করেন ১০ রান। দুজনকেই ফেরান শাভিয়ের বার্টলেট। এরপর শারফেন রাদারফোর্ড মাত্র ১৫ বলে ৩১ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন, যা ইনিংসের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত স্কোর হয়।
এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে ক্যারিবিয়ানরা, তবে রান তোলাও থেমে থাকেনি। এক সময় তারা ১৫৩ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে ফেলে। কিন্তু শেষদিকে জেসন হোল্ডার (২৬) এবং ম্যাথিউ ফোর্ডের ব্যাটিংয়ে আবার গতি আসে ইনিংসে, এবং দলীয় রান ২০০ পার করে যায়। অস্ট্রেলিয়া জবাবে শুরুতেই ধাক্কা খায়-প্রথম বলেই আউট হয়ে যান অধিনায়ক মিচেল মার্শ। পরে গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ও জশ ইংলিস মিলে গড়েন ৬৬ রানের জুটি। ম্যাক্সওয়েল ১৮ বলে ৪৭ রান করেন, হাঁকান ৬টি ছক্কা। ইংলিস করেন ৩০ বলে ৫১ রান। ১৩৪ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে আবারও চাপের মুখে পড়ে অজিরা। তখন দলের হাল ধরেন ক্যামেরন গ্রিন। তিনি ৩৫ বলে ৫৫ রানের ইনিংস খেলেন, আর তার সঙ্গে ছিলেন আরন হার্ডি (২৩)। দুজনে মিলে ৫১ রানের গুরুত্বপূর্ণ জুটি গড়ে তোলেন।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের সামনে ম্যাচ জয়ের সুযোগ এসেছিল। কিন্তু ১৯তম ওভারে রোমারিও শেফার্ড ক্যামেরন গ্রিনের একটি ক্যাচ মিস করেন, যেটি ম্যাচ ঘুরিয়ে দেয়। শেষ পর্যন্ত গ্রিন ও শন অ্যাবট মিলে জয় নিশ্চিত করেন অস্ট্রেলিয়ার। হোল্ডার ও আকিল হোসেইন শেষ চেষ্টা চালালেও সফরকারীদের রুখতে ব্যর্থ হন। ফলে আবারও ২০০ রান করেও পরাজয়ের স্বাদ পায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।