ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় শনিবার (২৬ জুলাই) ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর একটি গাড়িতে রাস্তার পাশে স্থাপিত বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে, যার ফলে একজন ইসরাইলি সেনা নিহত এবং দুইজন গুরুতর আহত হন। এই ঘটনায় ইসরাইলি সামরিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং ফিলিস্তিনি প্রতিরোধীদের মধ্যকার উত্তেজনা আরও বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। হিব্রু ভাষায় প্রকাশিত এক স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের বরাতে আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা মেহের এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। প্রথমে প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজায় ইসরাইলি সেনাবাহিনীর একটি সাঁজোয়া গাড়ি রাস্তার পাশে বোমা বিস্ফোরণের শিকার হয়, যার কারণে তিনজন সেনা গুরুতর আহত হন। পরে একই সংবাদমাধ্যম জানায়, বিস্ফোরণে একজন সেনা নিহত হয় এবং অপর দুইজন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, বোমাটি ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের পরিকল্পিত হামলা ছিল। বিস্ফোরণের সুনির্দিষ্ট স্থান ও সময় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হয়নি, তবে এটি গাজার নিকটবর্তী এলাকায় সংঘটিত হয়। ইসরাইলি সামরিক বাহিনী এই ঘটনার পর নিরাপত্তা জোরদার করেছে এবং সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান তীব্র করার ঘোষণা দিয়েছে। তবে, ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ বাহিনী এখনো হামলার দায় স্বীকার করেনি। হিব্রু সংবাদমাধ্যমগুলো এই ঘটনাটিকে ‘গুরুতর নিরাপত্তা ঘটনা’ হিসেবে উল্লেখ করেছে এবং ইসরাইলের সামরিক কমান্ডকে সতর্ক করেছে। এ ধরনের হামলা ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংঘর্ষের উত্তেজনা বাড়াতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। গাজা উপত্যকা দীর্ঘদিন ধরে ইসরাইলি সেনা ও ফিলিস্তিনি গাজা সরকারের মধ্যে টানাপোড়েনের কেন্দ্রবিন্দু। গত মাসগুলোতে এই এলাকায় বিভিন্ন সামরিক অভিযান চালানো হয়েছে এবং ফিলিস্তিনি প্রতিরোধীরা পারস্পরিক সংঘর্ষে জড়িয়েছে। এই বোমা বিস্ফোরণ নতুন করে উত্তেজনার সৃষ্টি করেছে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, গাজার এই হামলা ইসরাইলের নিরাপত্তা ব্যবস্থার দুর্বলতার ইঙ্গিত দেয় এবং ফিলিস্তিনি প্রতিরোধের নতুন ধরনের হুমকি হিসেবে দেখা হচ্ছে। পরিস্থিতি আরও খারাপ হলে গাজায় শান্তি প্রতিষ্ঠা করা কঠিন হয়ে পড়বে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও এই উত্তেজনাকর পরিস্থিতির দিকে নজর দিয়েছে। নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, এই ধরনের হামলা চলতে থাকলে ভবিষ্যতে বড় ধরনের সন্ত্রাসী হামলার সম্ভাবনা রয়েছে, যা জাতিসংঘসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থার জন্য উদ্বেগের বিষয়।