ভারত প্রথমে এশিয়া কাপ আয়োজন নিয়ে দ্বিধাগ্রস্ত ছিল, এমন শঙ্কা দেখা দিয়েছিল যে হয়তো এবার টুর্নামেন্টটি হবে না। তবে সেই সন্দেহ দূর হয়েছে, কারণ ভারত রাজি হয়েছে এবং পাকিস্তানও সেটি মেনে নিয়েছে। এখন আসরটি নিরপেক্ষ স্থানে আয়োজন করা হবে এবং সূচি চূড়ান্ত হয়েছে। এই সিদ্ধান্তের জন্য ভারতের ক্রিকেট বোর্ড সমালোচনার মুখে পড়েছে। পেহেলগাওয় হামলার পর দুই দেশের বৈরিতা আরও তীব্র হয়েছে। অনেক সাবেক তারকা ভারতীয় বোর্ডের এই দ্বিমুখী নীতির কঠোর সমালোচনা করেছেন। রাহুল ও হার্দিকের পাকিস্তানের বিরুদ্ধে খেলার ব্যাপারে অনেকেই অনিচ্ছুক। ভারতের সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আজহারউদ্দিনও বিসিসিআইয়ের দ্বৈত মনোভাব নিয়ে বিরক্ত। আজহারউদ্দিন বলেন, ‘আমার মতামত হলো, যদি দ্বিপাক্ষিক সিরিজ না হয়, তাহলে আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টেও দুই দেশ একসঙ্গে খেলবে না। তবে সরকার ও বোর্ড যেটা সিদ্ধান্ত নেয়, সেটাই বাস্তবায়িত হয়।’
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সময় আইসিসির মধ্যস্থতায় একটি চুক্তি হয়েছিল, যা অনুযায়ী ২০২৭ সাল পর্যন্ত ভারত ও পাকিস্তান একে অপরের দেশে খেলবে না। সেই ধারায় এশিয়া কাপও অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মাঝপথে ভারত আচরণ পরিবর্তন করেছে। শেষ পর্যন্ত তারা সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেছে। এশিয়া কাপের সূচি এমনভাবে সাজানো হয়েছে যে, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে কমপক্ষে তিনটি ম্যাচ হওয়া সম্ভাবনা রয়েছে। গ্রুপ পর্বে ১৪ সেপ্টেম্বর প্রথম ম্যাচ হবে, সুপার ফোরে উঠলে আরেকটি ম্যাচ হবে, আর যদি ফাইনালে দুই দল দেখা করে, তাহলে তৃতীয়বারও তারা মুখোমুখি হবে।