শেষ কিছুদিনে পারফরম্যান্সে কিছুটা উন্নতি দেখা গেলেও, এখনো টি-টোয়েন্টি সংস্করণে আগ্রাসী ব্যাটিং ও নিয়মিত ছক্কা মারার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ পিছিয়ে রয়েছে। তাই বিশ্বকাপের আগে দলকে উন্নত পাওয়ার হিটিংয়ের কৌশল শেখাতে একজন বিশেষজ্ঞ কোচ নিয়োগ দিতে চায় বিসিবি-এই তথ্য আগেই জানা গিয়েছিল। এবার জানা গেল, সেই কোচ হিসেবে কার নাম চূড়ান্ত হয়েছে? বিশ্বব্যাপী ছক্কা মারার কৌশল শেখানোয় দক্ষ এবং সুনাম কুড়ানো পাওয়ার হিটিং কোচ জুলিয়ান উডকে বাংলাদেশের জাতীয় দলের সঙ্গে যুক্ত করা হচ্ছে। আগামী আগস্টে তিনি ঢাকায় এসে টাইগারদের সঙ্গে তিন সপ্তাহ কাজ করবেন। এই সময়েই সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠেয় এশিয়া কাপের প্রস্তুতিও চলবে। ৬ আগস্ট থেকে মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুরু হচ্ছে টাইগারদের প্রস্তুতি ক্যাম্প। বিসিবির একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ক্রিকেটবিষয়ক জনপ্রিয় পোর্টাল ক্রিকবাজকে জানিয়েছেন, জুলিয়ান উড ক্যাম্প শুরুর আগেই ঢাকায় পৌঁছাবেন।
উল্লেখ্য, উড এর আগে বিপিএলের চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স দলের কোচ হিসেবেও কাজ করেছেন। বিসিবির পরিকল্পনার সঙ্গে একমত পোষণ করে তিনি ক্রিকবাজকে বলেন, ‘হ্যাঁ, আমি ফিল সিমন্সের সঙ্গে এ নিয়ে কথা বলেছি। আগস্টে তিন সপ্তাহের জন্য যাচ্ছি-এটা প্রায় নিশ্চিত। যদিও আনুষ্ঠানিক চূড়ান্ত ঘোষণা হয়নি, তবে সম্ভাবনা প্রবল। বিসিবির সঙ্গেও এ বিষয়ে আমার আলোচনা হয়েছে। আগস্টে এশিয়া কাপের আগে আমি ঢাকায় যাচ্ছি, এরপর আমার ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে বিসিবির সিদ্ধান্তের ওপর।’ বাংলাদেশি ব্যাটারদের সম্ভাবনা নিয়ে উড বলেন, ‘আমি মনে করি, ওখানে অনেক প্রতিভা আছে, সবসময়ই ছিল। এখন সাদা বলের ক্রিকেটে ব্যাটিংয়ে শক্তি দিয়ে শট খেলার দক্ষতা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। আমার ভূমিকা হবে খেলোয়াড়দের জানানো, কীভাবে তারা তাদের শক্তি আরও ভালোভাবে কাজে লাগাতে পারে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এই তিন সপ্তাহের কাজ নিয়ে আমি সত্যিই উৎসাহী। আগেও বাংলাদেশে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে আমার। এ নিয়ে বহু বছর আলোচনা চলছিল, এবার অবশেষে বাস্তবে রূপ নিচ্ছে। আমি বেশ খুশি।’
শুধু পাওয়ার হিটিং কোচ নয়, মানসিকভাবে ক্রিকেটারদের আরও দৃঢ় করতে বিসিবি একজন স্পোর্টস সাইকোলজিস্ট নিয়োগেরও পরিকল্পনা করেছে। বিসিবির একজন কর্মকর্তা জানান, ‘আমরা এমন একজন স্পোর্টস সাইকোলজিস্ট চাই, যার সঙ্গে একজন স্থানীয় সহকারীও থাকবে যেন ভাষাগত সমস্যা না হয় এবং স্থানীয়রা তার কাছ থেকে কিছু শিখতেও পারে।’ জানা গেছে, এর আগে বিসিবির হাই পারফরম্যান্স ইউনিটে কাজ করা ডেভিড স্কটকে আবারও বিবেচনায় রাখা হয়েছে। তিনি পেশাগতভাবে খেলাধুলা ও ব্যায়ামের মনোবিজ্ঞান নিয়ে পড়ান এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতাও রয়েছে তার।