এক সময়ের জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা শাবনূর বর্তমানে পরিবার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে অস্ট্রেলিয়ায় বসবাস করছেন। মাঝে মধ্যে দেশে এলেও তিনি অনেকটাই অভিনয় জগত থেকে দূরে রয়েছেন। শুক্রবার সকালে শাবনূরের সর্বশেষ খোঁজ পাওয়া যায় তার ফেসবুক পেজে। কিন্তু এখানেই দেখা দেয় জটিলতা। কারণ, একটি প্রতারক চক্র তার নামে একটি ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ চালু করেছে। এই ভুয়া পেজ সম্পর্কে পরিচিতজনরা শাবনূরকে জানালে তিনি বিষয়টি নিশ্চিত করেন যে, এটি তার আসল পেজ নয়। ফেসবুক লাইভে এসে তিনি বলেন, ‘আমার একটি মাত্র ফেসবুক আইডি আছে, বাকিগুলো সবই ভুয়া। আমি সবাইকে ভালোবাসি, আমার মনে কোনো কুটিলতা নেই। তাই আমি নিজে কোনো পেজ ভেরিফায়েড করিনি। জানি না কারা এই কাজ করেছে, কিংবা কেন তারা আমার বিরুদ্ধে এমন করছে।’ তবে শনিবার রাতে ভক্তদের জন্য খুশির খবর দেন শাবনূর। তিনি লেখেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, আমার ফেসবুক আইডি এখন ভেরিফায়েড। আপনাদের অনুরোধে এটি ভেরিফায়েড করালাম। আশা করি এখন থেকে সবাই সহজেই আমার অফিসিয়াল আইডি চিনতে পারবেন।’
এর আগে গণমাধ্যমকে শাবনূর বলেছিলেন, ‘আমি প্রথমে ফেসবুক ব্যবহার করতাম না। তখন আমার নামে অনেকগুলো ভুয়া আইডি বানানো হয়েছিল, সেগুলো নিয়ে আমি কিছু বলিনি। পরে যখন নিজে ফেসবুক ব্যবহার শুরু করি, তখন সবাই বুঝতে পারে কে আসল আর কে নকল। এরপর অনেকেই পরামর্শ দেন যেন আমার আইডি বা পেজ ভেরিফায়েড করি, যাতে কেউ বিভ্রান্ত না হয়। কারণ, আমার নামে শত শত ফেসবুক আইডি ও পেজ আছে, যেগুলো প্রতারকদের সুবিধা করে দিচ্ছে। তবুও আমি বিষয়টিকে গুরুত্ব দিইনি।’ শাবনূর আরও জানান, ভুয়া পেজটি যেটি ভেরিফায়েড হয়েছে, সেটির ফলোয়ার সংখ্যা ৬ লাখ ৫৯ হাজারের বেশি। সেই পেজে তার আইডি ও পেজে যেসব পোস্ট করা হয়, তাৎক্ষণিকভাবে তা কপি করে পোস্ট করা হয়। অত্যন্ত কৌশলে পরিচালিত এই পেজটি শাবনূরের অ্যাকাউন্টকেও ব্লক করে রেখেছে, যাতে তিনি তার অ্যাক্টিভিটি দেখতে না পারেন। এজন্য শাবনূরের মূল উদ্বেগ হলো-ভেরিফায়েড হওয়ায় অধিকাংশ মানুষ এই ভুয়া পেজকেই আসল ভাবতে পারেন। তিনি বলেন, ‘এই পেজটি ব্যবহার করে কেউ যদি কোনো অন্যায় বা অপরাধমূলক কাজ করে, তাহলে দায় গিয়ে পড়বে আমার ওপর। অথচ আমি হয়তো কিছুই জানি না। আমি ইতিমধ্যে ফেসবুক কর্তৃপক্ষকেও বিষয়টি জানিয়েছি।’