স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া জানিয়েছেন, দায়িত্ব হস্তান্তর হবে শুধুমাত্র গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। সোমবার (২৮ জুলাই) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘দায়িত্ব হস্তান্তরের একমাত্র পথ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া। কে ক্ষমতায় আসবে, তা নির্ধারিত হবে এই পদ্ধতিতে। অন্য কোনো পন্থায় ক্ষমতা দখলের চেষ্টা করলে তা ৫ আগস্টের মতোই প্রতিরোধের মুখে পড়বে।’ এদিকে, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। এ লক্ষ্যে সোমবার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, নির্বাচনের সময় ৬০ হাজার সেনা সদস্য মাঠে থাকবে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে। একইসঙ্গে সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর পর্যন্ত দেড় লাখ পুলিশ সদস্যকে নির্বাচন সম্পর্কিত বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। গুজব ও ভুয়া তথ্য মোকাবিলায় গঠন করা হবে ‘ন্যাশনাল ইনফরমেশন সেন্টার’। পাশাপাশি সরকারি সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয় জোরদার এবং প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদে রদবদল আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল এসএম কামরুল হাসান, পুলিশের মহাপরিদর্শক বাহারুল আলমসহ সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরের শীর্ষ কর্মকর্তারা অংশ নেন। বৈঠক শেষে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার। এর আগে, সোমবার সকালে ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসনের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস। তারা যুক্তরাষ্ট্রের নতুন শুল্কনীতি, সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলা, নির্বাচনী প্রস্তুতি এবং ঐকমত্য কমিশনের সংলাপ নিয়ে আলোচনা করেন। এ সময় ড. ইউনূস জানান, তার সরকার সন্ত্রাসবাদ নিয়ে জিরো টলারেন্স নীতিতে অটল।