আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে দেশীয় খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্স যাচাই করার বড় মঞ্চ হয়ে উঠতে যাচ্ছে জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) টি-টোয়েন্টি সংস্করণ। এই টুর্নামেন্টে ভালো করলে বিশ্বকাপের দরজা খুলে যাওয়ার সুযোগ তৈরি হতে পারে। ১৫ সেপ্টেম্বর শুরু হয়ে ৪ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে এ আসর। গতবারের মতো এবারও অনেক তরুণ ক্রিকেটারের সম্ভাবনা দেখার আশা করছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। বিসিবির প্রত্যাশা, এখান থেকে এমন কিছু নতুন মুখ উঠে আসবে, যারা বিশ্বকাপের মতো বড় মঞ্চের জন্য প্রস্তুত হয়ে উঠতে পারবে। বিসিবির প্রোগ্রাম বিভাগের প্রধান মিনহাজুল আবেদীন নান্নুর মতে, এই টুর্নামেন্ট ছাড়া বাস্তবতা বিবেচনা করে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া কঠিন। তিনি বলেন, ‘এই ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি আয়োজন না হলে বলা কঠিন হয়ে পড়ে নতুন কাউকে নেওয়া সম্ভব কি না। যদি কয়েকজন ভালো পারফর্ম করে... কারণ অনেক খেলোয়াড় প্রত্যাশামতো খেলতে পারেনি। যদি একজন-দুজন ভালো পারফর্ম করে, তাহলে তাদের নিয়েই পরিকল্পনা করা যেতে পারে। বিশ্বকাপের প্রস্তুতির জন্য তখন ছয় মাস সময় হাতে থাকবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্বকাপ নিয়ে পরিকল্পনা করতে হলে ২০ জন খেলোয়াড়ের একটি শক্তিশালী পুল থাকা দরকার।’ সেই ভাবনা থেকেই এনসিএল টি-টোয়েন্টিকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখছে বিসিবি। চলতি আসরের জন্য তিনটি ভেন্যু নির্ধারণ করা হয়েছে। লক্ষ্য, এমন ধরনের উইকেট তৈরি করা যাতে খেলোয়াড়রা বড় টুর্নামেন্টের মতো কন্ডিশনে অভ্যস্ত হতে পারে। অক্টোবরের ১৫ তারিখ থেকে শুরু হবে এনসিএলের চার দিনের সংস্করণ। এবারের আসরে প্রথমবারের মতো ভাবা হচ্ছে, প্রতিটি দলে একজন ব্যাটার ও একজন পেসার এই দুই ধরনের বিদেশি ক্রিকেটার অন্তর্ভুক্ত করা হতে পারে। নান্নু বলেন, ‘আমরা টেকনিক্যাল কমিটির মাধ্যমে এনসিএলের লঙ্গার ভার্সনের জন্য এই প্রস্তাব দেব।’ তার মতে, ‘চার দিনের এই প্রতিযোগিতাকে আরও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ও আকর্ষণীয় করে তোলাই আমাদের উদ্দেশ্য।’ তবে অক্টোবর মাসে বিদেশি ক্রিকেটার পাওয়া কঠিন হতে পারে, কারণ ওই সময় উপমহাদেশের বিভিন্ন দেশে ঘরোয়া লিগ চলতে থাকে। অন্যদিকে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে শুরু হবে বিসিএলের চার দিনের আসর। আলোচনায় রয়েছে-শ্রীলঙ্কা ‘এ’ কিংবা আফগানিস্তান ‘এ’ দলের মতো কোনো বিদেশি দলকে এই টুর্নামেন্টে আমন্ত্রণ জানানো হতে পারে।