ব্রাজিল থেকে আমদানিকৃত পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপে নির্বাহী আদেশে সই করেছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পূর্ব সতর্কতার পর এবার এই উচ্চ শুল্ক কার্যকরের ঘোষণা এলো। বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ জানিয়েছে ব্রাসিলিয়া, তারা পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে। এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বিবিসি। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীনের পর ব্রাজিলের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক সম্পর্ক রয়েছে। তাই ওয়াশিংটনের এই শুল্ক বৃদ্ধি দক্ষিণ আমেরিকার দেশটির অর্থনীতিতে তাৎপর্যপূর্ণ চাপ ফেলতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মাসের শুরুতেই ট্রাম্প কড়া বার্তা দিয়েছিলেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভাকে। তিনি অভিযোগ করেছিলেন, মার্কিন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার পাশাপাশি দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারোর বিরুদ্ধে রাজনৈতিক হয়রানি করছে লুলার প্রশাসন।
তবে সব পণ্যের ওপর একযোগে শুল্ক আরোপ করা হয়নি। আদেশ অনুযায়ী, ব্রাজিলের কিছু নির্দিষ্ট রপ্তানি পণ্য-যেমন কমলার রস, কিছু উড়োজাহাজ যন্ত্রাংশ এবং জ্বালানি-এই শুল্কের আওতামুক্ত থাকবে। নতুন আদেশে রাজনৈতিক দমন-পীড়নের প্রসঙ্গও স্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে। এতে বলা হয়, ‘ব্রাজিলে মতপ্রকাশে দমন, ভীতিপ্রদর্শন, সেন্সরশিপ এবং বলসোনারোর বিচার রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’। এদিকে, ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তারা ব্রাজিলের সুপ্রিম কোর্টের বিচারক আলেকজান্দ্রে দে মোরেসের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের পরিকল্পনা করছেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ-তিনি বিচারিক প্রক্রিয়া শুরুর আগেই আটকাদেশ দিয়েছেন এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতা খর্ব করেছেন। উল্লেখ্য, বিচারক মোরেস বর্তমানে সাবেক প্রেসিডেন্ট বলসোনারো ও তার ঘনিষ্ঠদের বিরুদ্ধে ২০২২ সালের নির্বাচনের পর ‘সরকারবিরোধী ষড়যন্ত্র’ এবং ‘অভ্যুত্থান প্রচেষ্টার’ অভিযোগে তদন্ত পরিচালনা করছেন।