ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভুয়া চিকিৎসক পরিচয়ে রোগীদের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগে দুই যুবককে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার (৩০ জুলাই) মধ্যরাতে হাসপাতালের ২ নম্বর ভবনের নিচতলা থেকে প্রথমে আনসার সদস্যরা তাদের আটক করেন। পরে তাদের ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পে হস্তান্তর করা হয়। আটককৃতরা হলেন-সজিব দাস পার্থ (২১) ও মানিক মিয়া (২২)। সজিব মৌলভীবাজার জেলার রাজনগর থানার রানেশ চন্দ্র দাসের ছেলে এবং মানিক চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া থানার ঈসাখালী গ্রামের আবুল বাশারের পুত্র। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ওই রাতে চিকিৎসকের অ্যাপ্রোন পরে সজিব দাস পার্থ ২ নম্বর ভবনের নিচতলায় অবস্থান করছিলেন। সেখানে হুইলচেয়ারে বসা কুলসুম বেগম (৫৪) নামের এক নারী রোগীকে জোরপূর্বক দাঁড় করিয়ে হাঁটানোর চেষ্টা করেন। এতে কুলসুম বেগম হঠাৎ পড়ে গেলে সজিব ও তার সঙ্গী মানিক দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগের চেষ্টা করেন।
এ ঘটনা নজরে এলে দায়িত্বে থাকা আনসার সদস্যরা তাদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। শুরুতে তারা নিজেদের চিকিৎসক বলে দাবি করলেও কোনো পরিচয়পত্র বা ভিজিটিং কার্ড দেখাতে ব্যর্থ হন। ফলে তাদের পুলিশ ক্যাম্পে হস্তান্তর করা হয়। পরে সজিব দাসের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান, তিনি পাবনা মেডিকেল কলেজের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী হলেও মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন। ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক হোসেন জানান, আনসার সদস্যদের সন্দেহে দুই যুবককে আটক করে ক্যাম্পে আনা হয়। তাদের একজন নিজেকে চিকিৎসক পরিচয় দিলেও কোনো বৈধ কাগজপত্র উপস্থাপন করতে পারেনি। যাচাই-বাছাই শেষে তাদের শাহবাগ থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।