মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি জানিয়েছেন, তার স্ত্রী মেলানিয়া ট্রাম্প, যিনি যুক্তরাষ্ট্রের ফার্স্ট লেডি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে বেশ পছন্দ করেন। তবে, ইউক্রেনে চলমান সংঘাতের কারণে তিনি গভীর হতাশার মধ্যে রয়েছেন। ট্রাম্পের এই বক্তব্য এসেছে ‘পড ফোর্স ওয়ান’ নামের একটি পডকাস্টে, যেখানে তিনি বলেন, “আমরা পুতিনকে ভালোভাবেই চিনে থাকি, আর মেলানিয়া তাকে পছন্দ করেন।” এছাড়াও ট্রাম্প উল্লেখ করেন, সম্প্রতি পুতিনের সঙ্গে তার ফোনালাপের পর মেলানিয়া জানান, দুঃখজনক হলেও সত্যি, তারা আবারও কিয়েভে বোমাবর্ষণ চালিয়েছে। চলমান যুদ্ধের ভয়াবহতায় মেলানিয়ার এই প্রতিক্রিয়া স্পষ্ট করে দেয় তার মনের অবস্থা। ট্রাম্প আরও বলেন, তিনি ইউক্রেন-রাশিয়া সংঘাতের সমাধানে আগ্রহী এবং এই লক্ষ্যে আগের নির্ধারিত ৫০ দিনের শান্তিচুক্তির সময়সীমা ১০ দিনে নামিয়ে এনেছেন। তিনি সতর্ক করে দিয়েছেন, যদি এই সময়ের মধ্যে কোনো চুক্তি না হয়, তবে রাশিয়ার বাণিজ্যিক অংশীদারদের বিরুদ্ধে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে। তবে রুশ কর্মকর্তারা এই আলটিমেটাম প্রত্যাখ্যান করে বলেছে যে, শান্তি আলোচনায় বসতে হলে সংঘাতের মূল কারণগুলো সম্পর্কে কথা বলা আবশ্যক।
অন্যদিকে, ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ‘দ্য টাইমস’ একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে যেখানে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের বর্তমান যুদ্ধে মেলানিয়া ট্রাম্পের ভূমিকা হয়তো অনেকেই উপেক্ষা করছেন। মেলানিয়ার শৈশব কাটিয়েছেন সোভিয়েত যুগের স্লোভেনিয়ায়, যা বর্তমানে কিয়েভের ঘনিষ্ঠ মিত্র। এই পটভূমির কারণে তার ইউক্রেন সংকটের সমাধানে বিশেষ আগ্রহ থাকতে পারে। এ বিষয়ে মার্কিন কংগ্রেসের সদস্য ডন বেকন এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, “ট্রাম্পের ইউক্রেন বিষয়ক অবস্থান স্পষ্টভাবে পরিবর্তিত হয়েছে।” তিনি আরও যোগ করেন, “আমি অবাক হবো না যদি মেলানিয়া নিঃশব্দে কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকেন এই পরিবর্তনে।” এই মন্তব্যগুলো থেকে বোঝা যায়, মেলানিয়া ট্রাম্প কেবল ফার্স্ট লেডি হিসেবেই নয়, বরং আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে তার প্রভাবও নেহাত কম নয়। তার শৈশবের অভিজ্ঞতা ও ব্যক্তিগত অনুভূতি হয়তো ট্রাম্প প্রশাসনের ইউক্রেন নীতি প্রণয়নে একটি অন্তর্নিহিত প্রভাব ফেলছে, যা আগামী দিনে আরও স্পষ্ট হয়ে উঠতে পারে।