২৫ বছরের টগবগে সুদর্শন যুবক জয় কুড়ি। মা-বাবার অবাধ্য হয়ে স্বর্ণ ব্যবসার আড়া লে বন্ধুদের নিয়ে মাদক (ইয়াবা) সেবনে মেতে থাকতো। সুযোগ বুঝে সুন্দরী তরুণীদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে সর্বনাশ করতো। গত তিন মাস আগে রাতে ইয়াবা কেনার জন্য জয় ফোন করে লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে মৎস প্রজনন ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের পাশে ভাড়াটিয়া এক ব্যক্তিকে (৫০)। কিন্তু ফোন রিসিভ করেন তার মেয়ে (১৪)। সেই সূত্র ধরেই জয় কুড়ি ওই কিশোরীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। একপর্যায়ে তাকে কক্সবাজারে নিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় জয় কুড়িকে গ্রেফতার দাবিতে মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) সকালে রায়পুর শহরের ওসমান চত্তরে বিপ্লবি জনতার ব্যানারে পাইলট বালিকা বিদ্যালয়ের স্কুলের ছাত্রী ও শতাধিক যুবকদের অংশগ্রহণে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন করে রায়পুর উপজেলা ধর্ষণ প্রতিরোধ মঞ্চ। এ সময় বক্তব্য রাখেন, প্রতিরোধ মঞ্চের আহবায়ক মোহাম্মদ হামিদ ভুইয়া, যুগ্ম আহবায়ক জয়নাল আবেদীন রিয়াজ, সদস্য সচিব শাহিন আলম মাহবুব, যুগ্ম সদস্য সচিব আশিকুর রহমান, কাজল রেখা, মেহেদী হাসান তামিম, এরশাদ মৌশুমি ও মুখ্য সংগঠক সিফাত রহমান প্রমুখ।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, জয় কুড়ি তার দুই বন্ধুকে নিয়ে গত ২৩ আগষ্ট সন্ধ্যায় কিশোরীকে তাদের বাসার সামনে থেকে তুলে নিয়ে যায় কক্সবাজার। সেখানে ৩দিন রাখার পর লক্ষ্মীপুর শহরে একটি বাসায় ৪দিন রাখে। ৩০ আগষ্ট ওই বাসায় কিশোরীকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তার কপালে সিঁধুর পড়াতে গেলে তখনই বিপত্তি ঘটে। এসময় কিশোরী বুঝতে পারেন জয় কুড়ি হিন্দু। এসময় চিৎকার দিলে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে যাওয়ার আগেই তাকে তুলে আবার রায়পুর শহরের মৎস প্রজনন ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সামনে ফেলে যায় বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী কিশোরী নিজেই। বর্তমানে ওই কিশোরী ডাক্তারের পরামর্শে নিজ বাড়িতে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (২৮ আগষ্ট) লক্ষ্মীপুর আদালতে ধর্ষণ মামলা হলে তা রেকর্ড করেন রায়পুর থানা পুলিশ। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত জয় কুড়িসহ তিনজনকে খুঁজছে পুলিশ। রায়পুর থানায় এসআই মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা মিল্টন বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত জয় কুড়িকে আটকের চেষ্টা চলছে।