ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ না হলে রাশিয়ার বিরুদ্ধে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপের ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, “যদি প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের প্রতিক্রিয়ায় আমি সন্তুষ্ট না হই, তাহলে আপনারা নিশ্চিতভাবেই কোনো না কোনো ঘটনার সাক্ষী হবেন।” হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে পোল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট কারোল নাভরকির সঙ্গে বৈঠকের সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপচারিতায় এ মন্তব্য করেন তিনি। ট্রাম্প বলেন, “পুতিনের জন্য আমার আলাদা করে কোনো বার্তা নেই, কারণ সে ভালোভাবেই জানে আমি কোথায় দাঁড়িয়ে আছি। এখন সিদ্ধান্ত নেওয়া তার—সে একদিকে যাবে নাকি অন্যদিকে।”
তিনি আরও বলেন, “তার যে সিদ্ধান্তই হোক না কেন, আমরা হয়তো সন্তুষ্ট থাকব অথবা অসন্তুষ্ট হব। তবে যদি অসন্তুষ্ট হই, সেক্ষেত্রে নিশ্চয়ই আপনারা কিছু ঘটতে দেখবেন।” বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের কূটনৈতিক প্রচেষ্টা কার্যত স্থবির হয়ে পড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর আগে ট্রাম্প রাশিয়া ও ইউক্রেনের নেতাদের নিয়ে বৈঠকের ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন, কিন্তু পুতিন তাতে কোনো আগ্রহ দেখাননি। যদিও পুতিন সহযোগিতা না করলে কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে, তা এখনও পরিষ্কার করে জানাননি ট্রাম্প।
তবে মস্কোর প্রতি নরম মনোভাব রাখার অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, ভারতের ওপর রাশিয়ান তেল কেনার কারণে যে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে, সেটিই তার কঠোর অবস্থানের প্রমাণ। তিনি ইঙ্গিত দেন, সামনে আরও নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে। ট্রাম্পের ভাষায়, “আপনারা যেটিকে ‘কোনো পদক্ষেপ নয়’ বলছেন, আমি এখনো ‘ফেজ টু’ বা ‘ফেজ থ্রি’ শুরুই করিনি।” তবে এ নিয়ে বিস্তারিত কিছু বলেননি তিনি। তিনি আরও জানান, খুব শিগগিরই তিনি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে কথা বলবেন এবং এরপরই পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে জানা যাবে।
অন্যদিকে হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন, ট্রাম্প বৃহস্পতিবার জেলেনস্কির সঙ্গে ফোনে কথা বলবেন। এর আগেই জেলেনস্কি ও ইউরোপীয় নেতারা এমন একটি ফোনালাপের প্রত্যাশা করেছিলেন।