দশম শ্রেণির ছাত্র এবং কিশোর গবেষক আহনাফ বিন আশরাফ নাবিলকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর মাধ্যমে। বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের কলেজপাড়া এলাকায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল নাবিলের কাছে শুভেচ্ছা পৌঁছে দেয়। এ সময় দলের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সভাপতি খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল, আমরা বিএনপি পরিবারের আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুমন, জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি জহিরুল হক খোকন, সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, সাবেক সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লা কচিসহ জেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের অন্যান্য নেতাকর্মীরা। কিশোর গবেষক আহনাফ বিন আশরাফ নাবিল ‘গার্ডিয়ান এঞ্জেল’ নামে একটি অ্যাপস উদ্ভাবন করেছেন। এই অ্যাপ নারীদের ও শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত, জলবায়ু পরিবর্তন রোধ এবং মোট ১৯টি বিষয়ে ডিজিটাল সমাধান হিসেবে কার্যকর হবে।
নাবিলের সৃজনশীলতা নিয়ে রুহুল কবির রিজভী বলেন, “কিশোর বয়সে এত উদ্ভাবনী চিন্তাধারা প্রদর্শন করা সত্যিই অসাধারণ। তার প্রতিভা দেখে তারেক রহমানের পক্ষ থেকে তাকে শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে। পরবর্তীতে আমরা বিএনপি পরিবারের পক্ষ থেকে তাকে আর্থিক অনুদানও প্রদান করেছি।” রিজভী আরও বলেন, “যদিও শেখ হাসিনা ক্ষমতা ছেড়ে গেছে, তবে তার দোসররা এখনও প্রশাসনের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নিয়ে দেশের অস্থিরতা সৃষ্টি করছে। তারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং সরকারের অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের উদ্যোগ ব্যাহত করার চেষ্টা করছে।” তিনি যোগ করেন, “শেখ হাসিনা ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য যে রক্তস্রোত বয়ে গেছে, তার দায়ে যারা প্রশাসনে অবস্থান করছে তাদের গ্রিন সিগন্যাল দেওয়া যাবে না। পাসপোর্ট ডিপার্টমেন্ট থেকে কোনো অপরাধী বা অভিযোগপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে সুবিধা দেওয়া হবে না। এর মানে হলো, প্রশাসনে থাকা যারা শেখ হাসিনার পরিকল্পনা বাস্তবায়নে লিপ্ত, তারা ব্যর্থ হবে।”
রিজভী আরও বলেন, “জনগণের ওপর কোনো শক্তির আধিপত্য নেই। যত ষড়যন্ত্র করা হোক, জনগণ জিতবে এবং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হবে। দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব অক্ষুণ্ন থাকবে।” তিনি বলেন, “প্রত্যেক রাজনৈতিক দলের জন্য মতপ্রকাশের স্বাধীনতা গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির একটি অংশ। এটিকে কাদা ছোড়াছুড়ি বলা যায় না। এই গণতন্ত্রের জন্যই আমরা ১৬ বছর ধরে আন্দোলন সংগ্রাম করছি। কিন্তু শেখ হাসিনা এই মূল গণতান্ত্রিক শক্তিকে দমন করেছে।” জুলাই সনদের আইনি প্রেক্ষাপট নিয়ে রিজভী মন্তব্য করেন, “নির্বাচিত পার্লামেন্ট ছাড়া পূর্বে প্রণীত কোনো কিছুকে আইন হিসেবে ধরা যায় না। আইনের শাসনের জন্য যে লড়াই করা হয়েছে, সেই লড়াইকে ব্যাহত করা যাবে না।”