সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দায়ের করা মামলায় সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী ও সাংবাদিক মঞ্জুরুল আলম পান্নার জামিন আবেদন আদালত নামঞ্জুর করেছে। বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হাসিব উল্লাহ পিয়াসের আদালতে শুনানি শেষে এই আদেশ দেন। আসামিদের পক্ষে তাদের আইনজীবী ফারজানা ইয়াসমিন (রাখী)সহ অন্যরা জামিনের শুনানি করেন, আর রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর শামসুদ্দোহা সুমন জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষের যুক্তি-তর্কের পর আদালত তাদের আবেদন নামঞ্জুর করেন। শুনানিতে সাংবাদিক মঞ্জুরুল আলম পান্নাকে আদালতে হাজির করা হয়। এর আগে, গত ২৯ আগস্ট রাজধানীর শাহবাগ থানায় দায়ের করা মামলায় লতিফ সিদ্দিকী, হাফিজুর রহমান (কার্জন), সাংবাদিক পান্নাসহ ১৬ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়। মামলার অন্যান্য আসামির মধ্যে রয়েছেন- কাজী এটিএম আনিসুর রহমান বুলবুল, গোলাম মোস্তফা, মো. মহিউল ইসলাম ওরফে বাবু, মো. জাকির হোসেন, মো. তৌছিফুল বারী খাঁন, মো. আমির হোসেন সুমন, মো. আল আমিন, মো. নাজমুল আহসান, সৈয়দ শাহেদ হাসান, মো. শফিকুল ইসলাম দেলোয়ার, দেওয়ান মোহম্মদ আলী ও মো. আব্দুল্লাহীল কাইয়ুম।
মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস মুছে ফেলার ষড়যন্ত্র এবং ইতিহাস বিকৃতি রোধের লক্ষ্যে ৫ আগস্ট ‘মঞ্চ ৭১’ নামে একটি সংগঠন আত্মপ্রকাশ করে। সংগঠনটি জাতির অর্জন রক্ষা করতে এবং জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আত্মত্যাগের প্রস্তুতি নিতে কাজ করছিল। এর অংশ হিসেবে ২৮ আগস্ট সকাল ১০টায় সেগুনবাগিচাস্থ ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে একটি গোলটেবিল বৈঠক আয়োজন করা হয়। সকাল ১১টায় অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার পর একদল ব্যক্তি হট্টগোল সৃষ্টি করে, স্লোগান দিয়ে সভাস্থলে প্রবেশ করে এবং দরজা বন্ধ করে কয়েকজনকে লাঞ্ছিত করে। হট্টগোলকারীরা আলোচনার ব্যানার ছিঁড়ে ফেলে এবং কিছু অংশগ্রহণকারীকে অবরুদ্ধ রাখে। পরে অতিথিদের অনেককে বের করা হলেও আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী ও অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমানকে অবরুদ্ধ রাখা হয়।
পরে পুলিশ এসে ১৬ জনকে আটক করে এবং এই ঘটনার পর শাহবাগ থানায় এসআই আমিরুল ইসলাম সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা দায়ের করেন।