লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জে একটি যাত্রীবাহী বাস খালে পড়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনায় পাঁচজন নিহত হয়েছেন। দুর্ঘটনা শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টার দিকে ঘটেছে। চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফয়জুল আজিম নোমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এবং জানান, পুলিশ এবং উদ্ধারকারী দল দুর্ঘটনার পর পরই ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধারকাজ শুরু করে। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন-সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের শেখপুর গ্রামের জয়নাল আবেদীন (৫৭) ও মোরশেদ আলম (৪০)। এছাড়াও, নওগাঁ জেলার বাসিন্দা হুমায়ুন কবির, রিপন হোসেন (৩৫) এবং মাজেদ হোসেন (৪০) এই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন। তাদের পরিবারের সদস্যরা এখনও শোকস্তব্ধ এবং তারা দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সকাল সাড়ে ৮টার দিকে নোয়াখালী থেকে ছেড়ে আসা লক্ষ্মীপুরগামী যাত্রীবাহী বাসটি চন্দ্রগঞ্জের কফিল উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের সাননে রহমতখালী খালে পড়ে যায়। বাসটি খালে ডুবে যাওয়ায় সেখানে উপস্থিত যাত্রী ও স্থানীয়রা চরম আতঙ্কের মধ্যে পড়েন। দুর্ঘটনার প্রায় চার ঘণ্টা পর বাসটি খাল থেকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়।
দুর্ঘটনার কারণে প্রায় এক ঘণ্টা লক্ষ্মীপুর-ঢাকা আঞ্চলিক মহাসড়কে যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ থাকায় সড়কের দুইপাশে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়। এতে সাধারণ যাত্রী ও যানবাহনের যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েন। স্থানীয়রা বলেন, এমন দুর্ঘটনা চন্দ্রগঞ্জ এলাকায় খুবই বিরল এবং এ ধরনের দুর্ঘটনার কারণে এলাকার মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফয়জুল আজিম নোমান বলেন, "বাস খালে ডুবে পাঁচজন মারা গেছেন। আমাদের ডুবরিদল দল এখন ঘটনাস্থলে কাজ করছে যাতে নিশ্চিত করা যায় কেউ নিখোঁজ আছে কি না। আমরা দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করেছি এবং শীঘ্রই বিস্তারিত রিপোর্ট প্রকাশ করা হবে।" উদ্ধারকর্মীরা জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার সময় বাসে ২০-২৫ জন যাত্রী ছিলেন। তবে হতাহত সংখ্যা নিয়ে এখনও নিশ্চিত তথ্য পাওয়া যায়নি। তারা আরও বলেন, বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খালে পড়ার সম্ভাব্য কারণ হিসেবে গাড়ির ব্রেক ফেইলিওর বা ড্রাইভারের দৃষ্টি বিভ্রাটকে পরীক্ষা করা হচ্ছে।
এ ধরনের দুর্ঘটনা এলাকার সাধারণ মানুষকে সতর্ক থাকার জন্য আবারও মনে করিয়ে দিয়েছে। প্রশাসন জানিয়েছে, ভবিষ্যতে এমন দুর্ঘটনা প্রতিরোধের জন্য সড়ক নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হবে।