গাজা শহর দখলের প্রচেষ্টা আরও জোরদার করেছে ইসরায়েল। পাশাপাশি নতুন এক ঘোষণা দিয়ে আলোচনায় এসেছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। তারা জানিয়েছে, দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসে একটি নতুন মানবিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করা হবে। শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) দ্য টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, এই অঞ্চলে ফিল্ড হাসপাতাল, পানির পাইপলাইন, খাদ্য, তাঁবু, ওষুধ ও চিকিৎসা সরবরাহ অব্যাহত থাকবে। এ সব কার্যক্রম জাতিসংঘ এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে সম্পন্ন করা হবে। আইডিএফ জানিয়েছে, এই মানবিক উদ্যোগগুলো তাদের উত্তর গাজায় ক্রমবর্ধমান সামরিক আক্রমণের পাশাপাশি চলতে থাকবে। ঘোষণাটি আসে এমন সময়ে যখন ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী বেসামরিক নাগরিকদের গাজা শহর থেকে দক্ষিণে সরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। ইসরায়েল জানিয়েছে, সৈন্যরা হামাসের বাকি শক্তিশালী ঘাঁটিগুলো দখল করবে এবং শেষ পর্যন্ত পুরো শহর নিয়ন্ত্রণে আনবে। এজন্য সামরিক হামলার তীব্রতা বৃদ্ধি পেতে পারে।
এদিকে, রাফাহ ক্রসিংসহ ফিলিস্তিনিদের বাস্তুচ্যুতির বিষয়ে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর মন্তব্যের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে কাতার ও মিসর এবং সতর্ক বার্তা দিয়েছে। শুক্রবার এক বিবৃতিতে মিসরের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নেতানিয়াহুর মন্তব্যকে ওই অঞ্চলে উত্তেজনা বৃদ্ধি এবং গাজায় ইসরায়েলি লঙ্ঘনের জন্য জবাবদিহি এড়িয়ে অস্থিতিশীলতা বজায় রাখার চলমান প্রচেষ্টা হিসেবে বর্ণনা করেছে। কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও নেতানিয়াহুর মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছে। তারা এটিকে ভ্রাতৃপ্রতিম ফিলিস্তিনি জনগণের অধিকার লঙ্ঘনের জন্য দখলদার বাহিনীর কৌশলের সম্প্রসারণ হিসেবে উল্লেখ করেছে। এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে দখলদাররা সম্মিলিত শাস্তির নীতি প্রয়োগ করছে। ইসরায়েল ফিলিস্তিনি জনগণকে তাদের ভূমি ছেড়ে যেতে বাধ্য করতে বা তাদের বৈধ অধিকার কেড়ে নিতে কখনো সফল হবে না।