লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে জমিসংক্রান্ত বিরোধের কারণে চাচার শাবলের আঘাতে সানোয়ার হোসেন নামের এক ওয়ার্ড জামায়াতের সভাপতি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় দুইজন আহত হয়েছেন। নিহতের সঙ্গে সম্পর্কিত সন্দেহে পুলিশের হাতে দুইজনকে আটক করা হয়েছে। শনিবার (৬ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের ব্রহ্মপাড়া গ্রামের করাতী বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। নিহত সানোয়ার হোসেন (২৯) ছিলেন রামগঞ্জ উপজেলার ১ নম্বর কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের ব্রহ্মপাড়া ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি। আহতরা হলেন তার মা হাসিনা বেগম (৫৫) ও ছোট ভাই আরিফ হোসেন (১৯)। জানা গেছে, রামগঞ্জের কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের ব্রহ্মপাড়া গ্রামের করাতী বাড়ির কামাল হোসেনের সঙ্গে ভাতিজা সানোয়ার হোসেনের জমিসংক্রান্ত বিরোধ দীর্ঘদিন ধরে চলছিল। শনিবার দুপুর ১২টার দিকে সানোয়ার হোসেন বাড়ির পুকুরপাড়ে গেলে হঠাৎ চিৎকার শুনে ঘটনাস্থলে যান তার স্ত্রী আরজিনা আক্তার তন্বী। সেখানে তিনি দেখেন তার স্বামী রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে আছে। চাচাশ্বশুর কামাল হোসেন এবং তার ছেলে রাকিব ও রাহাত মিলে সানোয়ারের মা হাসিনা বেগম ও ভাই আরিফ হোসেনকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে।
নিহতের মা হাসিনা বেগম বলেন, “কথায় কথায় আমার দেবর কামাল হোসেন ও তার সন্তানরা আমাদের পরিবারের উপর হামলা ও মারধর করত। আজ তারা প্রকাশ্যে শাবল দিয়ে আমার ছেলে সানোয়ারের মাথায় আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই সে মারা যায়।” রামগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের আমির নাজমুল হাসান পাটোয়ারী বলেন, “জমিসংক্রান্ত পারিবারিক দ্বন্দ্বের কারণে এই ঘটনা ঘটেছে। আমরা এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানাই এবং মূল আসামি কামাল হোসেনকে দ্রুত গ্রেপ্তার করার দাবি করছি।” রামগঞ্জ থানার ওসি মো. আবদুল বারী জানিয়েছেন, জামায়াত নেতার নিহত হওয়ার ঘটনায় রাকিব হোসেন (২৫) ও রাহাত হোসেন (২২) নামে দুইজনকে আটক করা হয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে এবং নিহতের ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।