ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চট্টগ্রামগামী কর্ণফুলী এক্সপ্রেস ট্রেনের একটি বগি লাইনচ্যুত হওয়ার খবরটি শনিবার (০৬ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টা ২০ মিনিটে নিশ্চিত করা হয়েছে। দুর্ঘটনাটি ঘটেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনের আউটারে, রেলক্রসিংয়ের ঠিক সামনে। এই ঘটনার পর মুহূর্তের মধ্যেই রেলযাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং সর্তকতা অবলম্বন করতে শুরু করেন সংশ্লিষ্ট স্টেশন কর্মকর্তারা। এ ঘটনায় ডাউন লাইনে ট্রেন চলাচল সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে যায়। তবে তা সত্ত্বেও রেল কর্তৃপক্ষ বিকল্প লাইনের মাধ্যমে ঢাকার সঙ্গে চট্টগ্রাম ও সিলেটের রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক রাখার ব্যবস্থা করেছে, যাতে যাত্রীদের যাত্রা অনেকটা স্বাভাবিকভাবে চলতে পারে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনের সহকারী মাস্টার সাকির জাহান জানিয়েছেন, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা চট্টগ্রামগামী কর্ণফুলী এক্সপ্রেস ট্রেনটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টেশনে নির্ধারিত যাত্রাবিরতি শেষে ছেড়ে যাওয়ার পর, বিকেল ৩টা ২০ মিনিটে রেলক্রসিংয়ের কাছে ‘চ’ বগিটি বিকট শব্দের সঙ্গে লাইনচ্যুত হয়ে যায়। তাঁর মতে, এটি এমন একটি দুর্ঘটনা যা মুহূর্তেই ট্রেন চলাচলে ব্যাঘাত সৃষ্টি করতে পারে।
ডাউন লাইনে এই দুর্ঘটনার কারণে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে গেলেও আপ লাইনের মাধ্যমে ঢাকা ও চট্টগ্রাম, পাশাপাশি সিলেটের সঙ্গে রেল যোগাযোগ অব্যাহত রাখা হয়েছে। ফলে যাত্রীদের যাত্রা অত্যন্ত সুরক্ষিতভাবে চলতে পারছে। তবে যাত্রীদের মধ্যে কিছুটা দেরি ও ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। সাকির জাহান আরও জানান, দুর্ঘটনার সঠিক কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। এটি নির্ধারণের জন্য তদন্ত শুরু হয়েছে। পাশাপাশি, দুর্ঘটনাকবলিত বগিটি উদ্ধারের জন্য আখাউড়া জংশন স্টেশন থেকে উদ্ধারকারী ট্রেন ঘটনাস্থলের দিকে রওনা হয়েছে। এই উদ্ধারকারী ট্রেন দ্রুত পৌঁছে দুর্ঘটনাকবলিত বগিটি সরিয়ে পুনরায় লাইন সচল করার জন্য কাজ করবে। রেলওয়ে সূত্রের খবর অনুযায়ী, দুর্ঘটনার প্রাথমিক প্রভাব লক্ষ্য করলে দেখা গেছে, যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক এবং উদ্বেগ তৈরি হয়েছে, তবে রেলওয়ে স্টেশন ও কর্মকর্তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রেখেছেন। তারা আশ্বস্ত করেছেন যে দ্রুততম সময়ের মধ্যে দুর্ঘটনাকবলিত বগি পুনরায় লাইনে ফিরিয়ে আনা হবে এবং যাত্রীদের যাত্রা স্বাভাবিক হবে।
এদিকে, এই দুর্ঘটনা পুনরাবৃত্তি রোধ করতে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ সারা দেশে ট্রেন চলাচলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও কঠোর করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।