নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলি পদত্যাগ করেছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধ ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে চলমান বিক্ষোভে সহিংসতায় ১৯ জন নিহত হওয়ার পর মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তিনি এই সিদ্ধান্ত নেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয় এক বিবৃতির মাধ্যমে তার পদত্যাগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। নিজের পদত্যাগ নিয়ে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে কেপি শর্মা অলি জানিয়েছেন, চলমান রাজনৈতিক ও সামাজিক সংকটের সাংবিধানিক সমাধান নিশ্চিত করার লক্ষ্যে তিনি স্বেচ্ছায় পদ ছাড়ছেন। এর আগে মঙ্গলবার সকাল থেকেই রাজধানী কাঠমান্ডুসহ সারা দেশে বিক্ষোভ অব্যাহত ছিল। উত্তেজিত বিক্ষোভকারীরা একাধিক শীর্ষ নেতার বাসভবনে হামলা চালায় ও ভাঙচুর করে। এর মধ্যে প্রধানমন্ত্রী অলি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শের বাহাদুর দেউবার বাসভবনও আক্রমণের শিকার হয়। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর কার্যালয়েও হামলার ঘটনা ঘটে।
সিভিল সার্ভিস হাসপাতালের নির্বাহী পরিচালক মোহন রেগমি বিবিসিকে জানিয়েছেন, দিনের বিক্ষোভে অন্তত দুজন নিহত হয়েছেন এবং আরও প্রায় ৯০ জন আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। এর আগে তরুণদের আন্দোলনে নিরাপত্তা বাহিনীর দমন-পীড়নের জেরে দেশজুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে, সংকট নিরসনের জন্য প্রধানমন্ত্রী অলি সর্বদলীয় বৈঠকের আহ্বান জানান। পদত্যাগের আগে প্রকাশিত বিবৃতিতে তিনি জানান, বৈঠকটি মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টায় অনুষ্ঠিত হবে, যদিও কোথায় বৈঠক হবে তা স্পষ্ট করা হয়নি। তার ভাষায়, “এই সংকটের একমাত্র সমাধান হলো আলোচনার টেবিলে বসা।”
তিনি আরও বলেন, “রাজধানীসহ সারা দেশে সোমবারের সহিংস বিক্ষোভ আমাকে গভীরভাবে ব্যথিত করেছে। কোনো ধরনের সহিংসতা দেশের জন্য মঙ্গলজনক নয়। এখন প্রয়োজন শান্তিপূর্ণ আলোচনা এবং আলোচনার ভিত্তিতেই সংকটের সমাধান করতে হবে।”