হঠাৎ থমকে যায় রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়কের ব্যস্ততম বাস রুট। স্ট্যান্ডে অপেক্ষমাণ যাত্রীরা দীর্ঘশ্বাস ফেলে, কেউ কেউ হতাশ হয়ে ফিরে যান। শ্রমিকরা জানান, এই লড়াই শুধুমাত্র তাদের নিজের জন্য নয়, বরং পরিবারের ভাতের থালার জন্যও। অবশেষে টানা ৪১ ঘণ্টা পর মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুর সোয়া ২টার দিকে রাজশাহী থেকে বাসের চাকা আবারও ঢাকার পথে রওনা হয়। রাজশাহী জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক রফিক আলী পাখি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে একই বেতনে তাদের কাজ করতে হচ্ছে। এক ট্রিপ শেষে চালক পান মাত্র ১,১০০ টাকা, সুপারভাইজার পান ৫০০ টাকা, আর সহকারী চালক পান মাত্র ৪০০ টাকা। এত অল্প বেতনে সংসার চালানো ক্রমেই কঠিন হয়ে উঠেছে। একজন শ্রমিক জানান, “আমাদের জীবনও তো মানুষ্য জীবন। দিনের পর দিন বাসে কাজ করি, অথচ ঘরে ফিরে পরিবারের মুখে হাসি ফোটাতে পারি না। তাই বাধ্য হয়ে এই কর্মসূচি হাতে নিতে হয়েছে।”
অন্যদিকে হঠাৎ বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যাত্রীদের ভোগান্তি বৃদ্ধি পায়। সোমবার সারাদিন শুধু একতা ট্রান্সপোর্টের বাস চললেও অন্য সব বাস বন্ধ ছিল। রাজশাহী থেকে ঢাকাগামী অনেক যাত্রীকে বিকল্প পথে ভ্রমণ করতে হয়েছে। এদিকে মালিকপক্ষ শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনায় বসে তাদের দাবি শোনে এবং আগামী ২৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বেতন সমন্বয় করার আশ্বাস দেয়। এই প্রতিশ্রুতির ভিত্তিতে আপাতত আন্দোলন স্থগিত রাখা হয়।
এর আগে রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) বেতন বৃদ্ধির দাবিতে রাজশাহী থেকে ঢাকাগামী যাত্রীবাহী বাস চলাচল বন্ধ করে দেন শ্রমিকরা। সেদিন সকাল থেকেই রাজধানীগামী যাত্রীদের দীর্ঘ ভোগান্তি পোহাতে হয়।