দীর্ঘ দুই দশকেরও বেশি সময় পর আবারও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে গেলেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর। রবিবার বিকেল ৪টা ২২ মিনিটে তিনি সচিবালয়ে প্রবেশ করেন এবং বর্তমান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হন। সূত্রে জানা গেছে, বৈঠকটি মূলত সৌজন্যমূলক হলেও এর গুরুত্ব ছিল বহুমাত্রিক। দলের ঘনিষ্ঠ মহল জানিয়েছে, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান খুব শিগগিরই দেশে ফিরতে পারেন। তার দেশে ফেরা ঘিরে সর্বাত্মক ও সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়টি আলোচনায় প্রাধান্য পায়। একই সঙ্গে সামগ্রিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি, সীমান্ত নিরাপত্তা এবং আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে অপরাধ দমন ব্যবস্থার উন্নয়ন নিয়েও আলোচনা হয় বলে মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে।
লুৎফুজ্জামান বাবর ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত চারদলীয় জোট সরকারের সময় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন। দায়িত্ব পালনের সময় তিনি নানা ইস্যুতে আলোচনায় আসেন-কখনও প্রশংসিত হয়েছেন, আবার কখনও সমালোচনার মুখে পড়েছেন। দীর্ঘ ২১ বছর পর তার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আগমনকে কেন্দ্র করে সচিবালয়ে এক ধরনের কৌতূহল তৈরি হয়। সাংবাদিকদের পাশাপাশি বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারাও সেখানে ভিড় জমান।
বৈঠকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা (অব.) লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বিশেষ সহকারী খোদাবক্স চৌধুরী, সিনিয়র সচিব নাসিমূল গণি, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজি) বাহারুল আলম, সাবেক সিনিয়র সচিব কামরুজ্জামান এবং সাবেক অতিরিক্ত আইজি মাহবুবুর রহমান। তাদের উপস্থিতি বৈঠককে আরও তাৎপর্যময় করে তোলে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বাবরের এ সফর শুধুমাত্র সৌজন্যমূলক নয়; এর মধ্য দিয়ে আগামী দিনের রাজনীতি এবং আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে ঘিরে একটি ইঙ্গিতও পাওয়া যায়। বিশেষ করে তারেক রহমানের সম্ভাব্য প্রত্যাবর্তনকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা ব্যবস্থার যে প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে, তা রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে।