খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হযরত আলী পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২২ মে) তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে তার পদত্যাগপত্র দাখিল করেন—বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার আব্দুর রহমান।পদত্যাগের আগে অধ্যাপক হযরত আলী স্পষ্ট ভাষায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “এখানে এত নোংরামি হবে জানলে আমি কুয়েটে আসতামই না। এক শিক্ষক সাধারণ সভায় টেবিল চাপড়িয়ে আমাকে বলেছেন, ‘আপনি যেখান থেকে আসছেন সেখানে ফিরে যান।’” চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের এই অধ্যাপককে গত ১ মে কুয়েটের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। কিন্তু দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের বিরোধপূর্ণ অবস্থানের মুখোমুখি হন তিনি। গত ১৯ মে ‘দাপ্তরিক কাজের’ অজুহাতে হঠাৎ ক্যাম্পাস ত্যাগ করে ঢাকায় যাত্রা করেন উপাচার্য। তার এ সিদ্ধান্ত শিক্ষক সমাজ ও আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মধ্যে অসন্তোষ ও প্রশ্নের জন্ম দেয়।
এই পটভূমিতে, বৃহস্পতিবার (২২ মে) বেলা সাড়ে ১১টায় কুয়েট শিক্ষক সমিতির আয়োজনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে শিক্ষক নেতাদের পাশাপাশি অংশ নেন শিক্ষার্থীরাও। তারা উপাচার্যের পদত্যাগ ও দ্রুত নতুন উপাচার্য নিয়োগের দাবি জানান।
এর আগে, শিক্ষার্থীদের টানা আন্দোলনের মুখে গত ২৫ এপ্রিল কুয়েটের তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদ এবং উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ শরীফুল আলমকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়েছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়।